গ্রামে ঢুকে হাতির তাণ্ডব নতুন নয়। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। কতকটা তারই পুনরাবৃত্তি হল মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত। একদল হাতি কার্যত গোটা গ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াল। তাণ্ডব চালাল। যথেচ্ছ ভাঙচুর চালাল। ভয়ে সারারাত না ঘুমিয়ে কাটালেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাতে বন দফতরকে খবর দেওয়া হলেও দফতরের কর্মীদের কেউ সাহায্যের জন্য হাজির হননি। আর হাতির এই তাণ্ডবের মধ্যেই ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। হাতির হানায় ঘর ভেঙে মৃত্যু হয় মা ও ১ বছরের মেয়ের।
ঝাড়খণ্ডের ইউপাড়া গ্রাম। এই গ্রামেই মঙ্গলবার রাতে হানা দেয় হাতির পাল। খাদ্যের খোঁজেই তাদের গ্রামে ঢুকে পড়া। কিন্তু তারপর গ্রামে ঢুকে যে তাণ্ডব তারা চালায় তাতে গ্রামবাসীর রাতের ঘুম উড়ে যায়। বুধবার সকালে একটি হাতি ওই গ্রামের বাসিন্দা রাজুর কাঁচা বাড়ির দিকে তেড়ে আসে। বাড়ি ভাঙতে শুরু করে। ভিতরে তখন ঘুমিয়ে ছিলেন রাজু, তাঁর স্ত্রী বছর ৩০-এর পানো ও তাঁদের ২ সন্তান।
কাঁচা মাটির বাড়ি। ফলে তা ভেঙে ফেলতে যে বেশি সময় হাতির লাগবে না বেশ বুঝতে পারেন পানো। তিনি স্বামীকে বলেন সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাতে। ঠিক হয় রাজু এক সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে আসবেন। আর পানো তাঁদের ১ বছরের শিশুকন্যাকে নিয়ে বেরিয়ে আসবেন বাড়ি থেকে। রাজু ১ সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বার হতে পারলেও পানো পারেননি। মা ও মেয়ের ঘটনাস্থলেই বাড়িটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ এসে দেহ ২টি ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিকে বন দফতরকে ডাকা সত্ত্বেও তারা আসেনি বলে দাবি করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। ঝাড়খণ্ডে হাতির পালের হানা প্রায় দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে ৭০০ জন মানুষ হাতির হানায় প্রাণ হারিয়েছেন। যে তালিকায় নতুন সংযোজন হল আরও ২টি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা