National

ভরা বাজারে মহিলার শ্লীলতাহানি, প্রতিবাদে মার, দাঁড়িয়ে মজা দেখল গোটা বাজার!

শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করেছিলেন এক মহিলা। এটাই তাঁর ‘অপরাধ’! আর সেই অপরাধে প্রকাশ্য দিবালোকে ওই মহিলাকে বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় দুই যুবক। বাধা দিতে এলে তাঁর স্বামীকেও মারধর করা হয়। বাবা-মাকে এভাবে মার খেতে দেখে তাঁদের ছোট্ট মেয়ে তখন হাউহাউ করে কাঁদছে। মহিলার কপাল ফেটে রক্ত গড়াচ্ছে সারা মুখে। তাতে কী! ওই দুই যুবককে আটকানো দূরে থাক, আশপাশে দাঁড়িয়ে সকলে মজা দেখছেন! কেউ মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করে রাখছেন সব ছবি। কেউ আবার ঘটনায় মুচকি হেসে চলেছেন। হাসি থামছে না! এক মহিলার সঙ্গে এমন অভব্যতা এভাবে তারিয়ে উপভোগ করার মানসিকতার সত্যিই জবাব নেই! ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মইনপুরিতে। কী হয়েছিল সেদিন? দুই সন্তানের মা ওই মহিলার অভিযোগ, পরিবার নিয়ে এখানে এসে একটি ঠিকানা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই জিজ্ঞেস করেছিলেন দুই যুবককে। ঠিকানা বলা দূরে থাক ভিড়ে ঠাসা বাজার এলাকার মধ্যিখানেই একজন তাঁর ওড়না ধরে টান দেয়। আর অন্যজন পিছন থেকে জাপ্টে ধরে। এভাবে শ্লীলতাহানির কড়া ভাষায় প্রতিবাদ জানান ওই মহিলা। তখন থেকেই আশপাশের লোকজনের মজা দেখা শুরু। অন্তত ওই ঘটনার যে ফুটেজ সামনে এসেছে তা থেকে সেটাই পরিস্কার। প্রতিবাদ করলে ওই যুবকদেরই একজন মহিলার স্বামীকে মারতে শুরু করে। অন্যজন বাঁশ দিয়ে মেরে মহিলার মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পরেও তাঁকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। পরে ওই মহিলা বাজারেই বসে পড়ে বিচার চান। পুলিশ এলে জানান, হয় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে, আর তা না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। রক্তাক্ত মাকে দেখে ছোট্ট মেয়েটা তখনও ভয়ে কেঁদে চলেছে। পুলিশ বোঝানোর চেষ্টা করলে পাশের একটি বন্ধ সাটারে মাথাও ঠুকতে থাকেন নির্যাতিত, অপমানিত ওই মহিলা। তিনি পুলিশকে এও জানিয়ে দেন, এখানে সবাই সব জানে। কিন্তু কেউ মুখ খুলবে না। পরে যদিও ওই মহিলার শুশ্রূষার বন্দোবস্ত করা হয়। একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যজনের খোঁজ করছে পুলিশ।

 



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button