সারা রাতই বৃষ্টির আওয়াজ কানে এসেছে গ্রামবাসীদের। বৃষ্টি থামার নাম নিচ্ছে না। তবে এমন বৃষ্টির সঙ্গে তাঁরা পরিচিত। বর্ষায় এমনই বৃষ্টি হয় এখানে। বরং অনেকদিন পর বৃষ্টি নামায় মনটা খুশিই হয়েছিল। কিন্তু ভোরের আলো ফুটতে গ্রামবাসীদের সেই খুশির রেশ কেটে ঘিরে ধরে আতঙ্ক। গ্রামে জল বাড়তে বাড়তে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জল অনেকটা উঠে গেছে। তারওপর বৃষ্টি তখনও অব্যাহত। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও তখনও গ্রামের কোনও বড় ক্ষতি হয়নি। দ্রুত খবর যায় প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনের তরফে আধিকারিকদের পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গ্রামে পাঠানো হয়।
উত্তরাখণ্ডে গত বুধবারই বর্ষা প্রবেশ করল। আর প্রথম দিনেই টানা বৃষ্টি শোচনীয় করে তুলল পরিস্থিতি। রুদ্রপ্রয়াগ জেলার সারিচামসিল গ্রামে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেখান থেকে মানুষকে প্রয়োজনে সরাতে তৈরি প্রশাসন। অন্যদিকে গঙ্গনানি এলাকায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। গঙ্গোত্রী হাইওয়ে বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হবে। তাই দ্রুত সেই রাস্তা সাফাইয়ের কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। উত্তরকাশীর এসপি পরে জানান ওই রাস্তা সাফ করে ফের যান চলাচল শুরু হয় দুপুরের পর।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যা পরিস্থিতি তাতে প্রবল বৃষ্টি হবে উত্তরাখণ্ড জুড়ে। ফলে সিংহভাগ পাহাড়ি এলাকা সম্পন্ন উত্তরাখণ্ডের অবস্থা যে আরও জটিল হবে সেটা অনুমেয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেরাদুন ও মুসৌরি শহরও বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণ হয়েছে এখানে। খোদ দেরাদুনেই অনেক রাস্তা জলের তলায় চলে গেছে। ব্যাহত স্বাভাবিক জনজীবন। চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ ও উত্তরকাশীতেও প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা