National

গ্রিল কেটে সিলিং থেকে ঝুলে পড়া মহিলাকে বাঁচিয়ে দিল পুলিশ

এমন ঘটনা সিনেমায় হয়। কিন্তু বাস্তবেও যে তা সম্ভব তা দেখলেন দক্ষিণ দিল্লি বাসিন্দারা। সঙ্গম বিহার এলাকার একটি বাড়িতে আত্মহত্যা করতে ঘরের সিলিং থেকে ঝুলে পড়েছিলেন এক ৩৬ বছর বয়সী মহিলা। নিজেরই ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ঝুলছিলেন সিলিং থেকে। আর ঠিক সেই সময় ধূমকেতুর মত উদয় হয়ে তাঁকে বাঁচিয়ে দিল পুলিশ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন আর একটু দেরি হলেই শেষ হয়ে যেত ওই মহিলার জীবন।

পুলিশ জানাচ্ছে, তারা একটি ফোন কল পায়। যেখানে তারা জানতে পারে এক মহিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন। সময় নষ্ট না করে অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর সুন্দর লাল ২ পুলিশ কনস্টেবলকে নিয়ে ছোটেন। বাড়িটির সামনে পৌঁছে তাঁরা দ্রুত পাশের গলি থেকে এক গ্রিল মিস্ত্রিকে ডেকে আনেন। তারপর বাড়ির গ্রিল কেটে ঢুকে পড়েন ভিতরে। ভিতরে পৌঁছে তাঁরা দেখেন আশাদেবী নামে ওই মহিলা সিলিং থেকে ঝুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে যে ওড়নায় তিনি ঝুলছিলেন সেই ওড়নাটি কেটে দেন এক পুলিশকর্মী।


অন্যরা মহিলার গলা থেকে খুলে ফেলেন ওড়নার ফাঁস। তারপর আর সময় নষ্ট না করে দ্রুত পাঠান এইমসে। সেখানে চিকিৎসকেরা ওই মহিলাকে পরীক্ষার পর নিশ্চিত করেন যে তিনি বেঁচে গেছেন। তবে সামান্য দেরি হলেই মৃত্যু হত আশাদেবীর। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রিল কাটিয়ে ভিতরে ঢুকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে রওনা করতে তারা মাত্র ৬ মিনিট নেয়। এই দ্রুততা না দেখালে ওই মহিলাকে বাঁচানো যেত না। ফলে সকলেই পুলিশের তারিফে এখন পঞ্চমুখ।

ওই মহিলার স্বামী গুরুগ্রামে কাজ করেন। তাঁদের ৩ সন্তান রয়েছে। ১ জন তখন স্কুলে ছিল। বাকি ২ জনকে ওই মহিলাই বাড়ির একটি ঘরে বন্ধ করে দেন। তারপর ঝুলে পড়েন সিলিং থেকে। কেন এমন কাণ্ড তিনি ঘটালেন তা এখনও পরিস্কার নয়। তিনি সুস্থ হলে পুলিশ কথা বলে ওই মহিলার কাছ থেকেই কারণ জানার চেষ্টা করবে। তার আগে অবশ্য আশাদেবীর স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button