১ বছর বিয়ে হয়েছে তাদের। উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরের পোখার গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল হাসান-এর বয়স ২৪ বছর। আর তার স্ত্রীর বয়স ২০। ১ বছরের বৈবাহিক জীবনে অবশ্য তাদের একসঙ্গে বেশি সময় কাটানো হয়নি। কারণ হাসান কাজ করে সুরাটে। ফলে কখনোসখনো বাড়ি ফেরার সুযোগ পায় সে। তখনই দেখা হয় স্ত্রীর সঙ্গে। সুরাট থেকে ২ দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিল আনোয়ারুল।
গত শনিবার সকালে সে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনের ইচ্ছা পোষণ করেন। তখন বাড়িতে স্বামী-স্ত্রীই ছিল। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে যৌন সঙ্গমে তাঁর ইচ্ছা নেই বলে জানান আনোয়ারুলের স্ত্রী। বারবার তাঁকে যৌন সঙ্গমের জন্য বললেও তাতে রাজি হননি স্ত্রী বলেই দাবি করেছে আনোয়ারুল। যৌন সঙ্গমে স্ত্রীর এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারেনি হাসান। প্রচণ্ড রেগে স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে সে। এখানেই শেষ নয়, উন্মত্ত মানসিক অবস্থায় একটি ধারালো বস্তু দিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলে হাসান।
শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটার পর প্রতিবেশিরা জানালা দিয়ে দেখতে পান হাসানের স্ত্রী মেঝেতে পড়ে আছেন। আর ঘর রক্তে ভেসে যাচ্ছে। দ্রুত প্রতিবেশিরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশে এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে হাসানের স্ত্রী মৃত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। হাসান নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলায় ঘর রক্তে ভেসে গেছে। হাসানকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। পরে হাসান পুলিশকে জানায়, স্ত্রী যৌন সঙ্গমে রাজি না হওয়ায় সে তাঁকে খুন করেছে। যদিও ওই গৃহবধূর পরিবারের দাবি হাসান নাকি বিয়ের পর থেকেই পণের জন্য স্ত্রীর ওপর চাপ দিচ্ছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা