যাত্রীবোঝাই বাস। তাও আবার ডবল ডেকার। বাংলায় দোতলা বাস। সেই বাসেই যাত্রা করছিলেন ৫০ জন। যাচ্ছিলেন লখনউ থেকে দিল্লি। গন্তব্যে পৌঁছনোর জন্য বাস সারা রাত যাত্রা করছিল লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। আগ্রার প্রায় কাছে তখন বাসটি। ঘড়িতে ভোর সওয়া ৪টে। এই সময় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর বাসটি একটি ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় নিয়ন্ত্রণ হারান বাস চালক। গতিতে থাকা বাসটি গিয়ে ধাক্কা মারে ডিভাইডারে। তারপর উল্টে যায় ২ পাশে ২টি ফ্লাইওভারের মাঝের ফাঁকে। সোজা গিয়ে পড়ে ৪০ ফুট নিচে।
অতটা নিচে পড়ার পর বাসটি আর আস্ত ছিলনা। যাত্রীদের মধ্যে ২৯ জনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। ২১ জনকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর মাইলস্টোন ১৬১-তে। যে এলাকা ঝরনা নালা নামে পরিচিত। বাসটি উত্তরপ্রদেশ পরিবহণ নিগমের জন রথ নামক প্রকল্পের বাস ছিল। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, এর পিছনে সঠিক কারণ কী তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার পরই স্থানীয় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ পরিচালনা করেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নিজে আধিকারিকদের উদ্ধারকাজে সবরকম বন্দোবস্ত করতে নির্দেশে দেন। সেইসঙ্গে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করেছেন মৃতদের পরিবার প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা