National

ছাত্রীদের কুপ্রস্তাব, গ্রেফতার লেকচারার, চাকরি গেল অধ্যাপকের

যদি পড়াশোনার সময় কোথাও সমস্যা হয়, বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে তাঁরা যেন সংকোচ না করে তাকে ফোন করে নেন। ছাত্রীদের একথা জানিয়ে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে দিত তেলেঙ্গানার ওয়ারাঙ্গল আরবান জেলার হানামকোন্ডা শহরের একটি বেসরকারি কলেজের লেকচারার টি রঞ্জিত কুমার। সেই সব ছাত্রীদের বেছে বেছে নিজের মোবাইল নম্বর দিত যাঁরা পড়াশোনায় একটু কাঁচা।

এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। শিক্ষক হিসাবে সে যেভাবে সাহায্যের হাত ছাত্রীদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিল তা তারিফযোগ্য ছিল। ছাত্রীরা এরপর কোথাও সমস্যা হলে ওই শিক্ষককে ফোন করতেন। তখনই তাঁদের নম্বর ফোনে সেভ করে নিত রঞ্জিত কুমার। পরে ছাত্রীদের মোবাইলে কুরুচিকর সব মেসেজ পাঠাতে থাকত। কখনও এসএমএস করে, কখনও হোয়াটসঅ্যাপে।


কুপ্রস্তাবও থাকত সেসব মেসেজে। ছাত্রীরা অনেকেই লজ্জায় সেসব কথা কাউকে জানাননি। কিন্তু এক ছাত্রী তাঁর বাবা-মাকে বিষয়টি জানিয়ে দেন। তাঁর অভিভাবকরা তখনই পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ তদন্তে নেমে টি রঞ্জিত কুমার নামে ওই লেকচারারকে গ্রেফতার করে। খোদ পুলিশ কমিশনার বিষয়টি তদন্ত করতে একটি দল গঠন করেন। তদন্ত চলছে।

অন্য একটি ঘটনায় এক অধ্যাপক গ্রেফতার না হলেও তার চাকরি গেছে। তেলেঙ্গানারই নির্মল জেলার বাসারার রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রির অধ্যাপক ভারালা রবি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ হল, সে যেসব ছাত্রী পরীক্ষায় পাশ করতে পারতেন না তাঁদের কুপ্রস্তাব দিত। ছাত্রীদের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চাইত। বিনিময়ে ছাত্রীদের আশ্বস্ত করত যে সে তাদের পাশ করিয়ে দেবে। তবে ফেল থেকে পাশ করতে গেলে তাঁদের ভারালা রবির সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।


কয়েকজন ছাত্রী এটা সহ্য করতে না পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর নিশ্চিত হন ভারালা রবি ছাত্রীদের যৌন সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দিত। তারপরই ভারালা রবিকে বরখাস্ত করেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button