কলেজে পড়তে গিয়ে আলাপ। সেই আলাপ ভালবাসায় বদলে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি। ২ তরুণ হৃদয় চেয়েছিল তাদের প্রেমকে সারাজীবনের সঙ্গী করতে। একে অপরের সঙ্গে সারা জীবনটা কাটাতে। যদিও মেয়ে উচ্চবর্ণের। তরুণটি তথাকথিত নিম্নবর্ণের, দলিত। তাতে কী! হৃদয়ের টান তো বর্ণের ধার ধারে না। তাই দুজনে বিয়ে করেন। একথা মেয়ের বাপের বাড়ির জানতে সময় লাগেনি। এখানেই শুরু একদম সাজানো সিনেমার স্ক্রিপ্টের।
পর্দায় যেমন হয়, সেটাই ঘটে বাস্তবে। মেয়ের বাড়ির লোকজন মেয়েকে জানান, তাঁরা বিয়েটা মেনে নিয়েছেন। মেয়ে যেন তাঁর বাপের বাড়িতে কটা দিন কাটিয়ে যান। তারপর তাঁরা নিজেরাই তাঁকে তাঁর স্বামী হরেশ সোলাঙ্কির কাছে দিয়ে আসবেন। মেয়েও সরল বিশ্বাসে বাপের বাড়ি পাড়ি দেন। মেয়ে বাড়ি ফেরার পরই এবার তাঁর বাড়ির লোকজন নিজেদের রূপ ধারণ করেন। সাফ জানিয়ে দেন কোনওভাবেই মেয়েকে তাঁরা দলিত যুবকের হাতে তুলে দেবেন না।
এভাবে প্রায় ৬ মাস কেটে যায়। গুজরাটের কচ্ছের বাসিন্দা হরেশ অবশেষে স্ত্রী উর্মিলাকে পেতে গুজরাট সরকারের অভয়ম হেল্পলাইনে ফোন করেন। তাঁদের সাহায্য চান। তাঁরা সাহায্য দিতে রাজিও হয়। অভয়ম সদস্যদের গাড়িতেই আমেদাবাদের ভারমর গ্রামে হাজির হন হরেশ সোলাঙ্কি। তারপর সোজা উর্মিলার বাপের বাড়িতে হাজির হয়ে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চান।
অভয়ম সদস্যরা জানান, আচমকাই জনা দশেক লোক হরেশ সোলাঙ্কির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ মারতে থাকে। এমনকি সরকারি অভয়ম হেল্পলাইনের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সোলাঙ্কিকে বাঁচাতে গিয়ে আহত হন অভয়ম-এর সদস্যরা। এদিকে একের পর এক কোপে ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন ২৫ বছরের হরেশ। স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যেতে আসা হরেশের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। পুলিশ এই ঘটনায় ১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ৯ জন পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা