তিনি সত্যিই বিয়ে করেছেন। তাঁর মাথায় যে সিঁদুর দেখা যাচ্ছে তা কোনও ফ্যাশন নয়। তাই তাঁর বাবা যেন বিষয়টি মেনে নেন। তাঁর এবং তাঁর স্বামীর পিছনে তাঁর বাবা যে গুণ্ডাদল পাঠিয়েছেন, যারা তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। হাতে পেলে তাঁদের হত্যাও করতে পারে। এই গুণ্ডাদের যেন ফিরিয়ে নেন তাঁর বাবা। তিনি শান্তিতে রাজনীতি করুন। আর তাঁকেও শান্তিতে স্বাধীনভাবে বাঁচতে দিন। একটি ভিডিও বার্তায় এমনই জানালেন উত্তরপ্রদেশের বরেলির বিজেপি বিধায়ক রাজেশ মিশ্রর মেয়ে সাক্ষী।
তাঁর পুলিশের কাছে আবেদন, তাঁদের জীবন সংশয় রয়েছে। তাঁদের যেন সুরক্ষা দেওয়া হয়। সাক্ষী ভিডিও বার্তায় আরও জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্বামী তাঁর বাবার পাঠানো গুণ্ডাদের আতঙ্কে পালিয়ে বেড়াতে বেড়াতে ক্লান্ত। আগামী দিনে যদি তাঁর বা তাঁর স্বামী বা তাঁর শ্বশুরবাড়ির কারও কোনও ক্ষতি হয় তাহলে সে দায় তাঁর বাবা ও তাঁর পাঠানো গুণ্ডার হবে।
সাক্ষীর এই ভিডিও ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপিও কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে। যদিও রাজেশ মিশ্র জানিয়েছেন, তিনি দলের কাজে ব্যস্ত। তাছাড়া তাঁর মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্কা। তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। তিনি এ নিয়ে কিছুই বলতে চান না। তিনি দলের কাজে ব্যস্ত।
কিন্তু এই ঘটনা ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের গণ্ডি পার করে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিওতে সাক্ষী ও তাঁর স্বামীকে দেখা যাচ্ছে।
গত ৪ জুলাই পরিবারের অমতেই দলিত যুবক অজিতেশ কুমারকে বিয়ে করেন সাক্ষী। মন্দিরে তাঁদের বিয়ে হয়। তারপর থেকেই নাকি হন্যে হয়ে তাঁদের খুঁজছে সাক্ষীর বাবার পাঠানো গুণ্ডারা। অন্তত এমনই দাবি ওই ভিডিওতে করেছেন সাক্ষী।
বিয়ের পর থেকে তাঁরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সাক্ষীর ভিডিও বার্তায় যেমন আকুতি ধরা পড়েছে, তেমনই একটা মরিয়া ভাব প্রবল। তিনি সাফ জানিয়েছেন, যদি তাঁকে মরতেই হয়, তবে তিনি মরে যাবেন। কিন্তু অন্যদেরও রেহাই দিয়ে যাবেন না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা