তিনি দলিত বলে বন্ধুদের লাগাতার ঠাট্টার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। দিনের পর দিন চলছিল এই কাণ্ড। আইনের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র বছর ২০-র বিপিন বর্মা প্রথমে সব কথা মাকে খুলে বলেন। বন্ধুদের এই ঠাট্টা তাঁকে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত করে তুলছিল। সেকথাও মাকে জানান তিনি। মা তাঁকে পরামর্শ দেন এসব কথায় কান না দিয়ে পড়াশোনায় মন দিতে। স্বামীকেও জানান তিনি। সবকথা শুনে পেশায় পুলিশ কনস্টেবল বিপিনের বাবা ফোন করেন ওই ছাত্রছাত্রীদের। তারা কথাও দেয় যে তারা এমন আর করবে না। কিন্তু ওদিনই বাড়িতে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বিপিন।
বিপিন আত্মহত্যা করেন গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু শুক্রবার রাতে এফআইআর দায়ের করেন তাঁর বাবা। এফআইআর-এ পুরো ঘটনার কথা জানান তিনি। তাঁর দাবি, যে ৪ জন ছাত্রছাত্রী এভাবে তাঁর ছেলেকে দিনের পর দিন দলিত বলে মানসিক অত্যাচার করেছে তারা প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান। পুলিশ জানাচ্ছে নেহা চৌধুরি নামে এক ছাত্রী ও তার সঙ্গী ৩ ছাত্র অণু, অঙ্কুর ও অরুণ দিনের পর দিন বিপিনকে নিচু জাতের গঞ্জনা দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের শাস্ত্রী নগর এলাকায়। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তদন্ত চলছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতে ফের জাতপাতের বিষয়টি সামনে এসে পড়ল। দলিত হলে তাকে গঞ্জনা দিতে নতুন প্রজন্ম বা ছাত্র সমাজও পিছপা হচ্ছেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা