বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে একাধিক নদী, বন্যায় মৃত ৬, বিধ্বস্ত ৮ লক্ষ
গত সপ্তাহে রাজ্য খরার কবলে বলে মাথা চাপড়াচ্ছিল। একটু জলের জন্য আকাশের দিকে চাতকের মত চেয়েছিলেন চাষিরা।
গত সপ্তাহে যে রাজ্য খরার কবলে বলে মাথা চাপড়াচ্ছিল। একটু জলের জন্য আকাশের দিকে চাতকের মত চেয়েছিলেন চাষিরা। সেই বিহারের মানুষ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন বৃষ্টি যেন থেমে যায়! বিহারের একটা বড় অংশ এখন বন্যা কবলিত। বিশেষত নেপাল লাগোয়া উত্তর বিহারের অবস্থা শোচনীয়।
বিহারের নদীগুলি ফুঁসছে। গঙ্গা, কোশী, গণ্ডক, বুঢ়ী গণ্ডক ও বাগমতি নদীর জল অনেক জায়গায় ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে। এসব নদীর তীরে বসবাসরত মানুষজন নদীগুলির চেহারা দেখে দ্রুত বাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছেন। নেপালের দিক থেকেও জল ঢুকছে বিহারে। মুজফ্ফরপুর, পূর্ব চম্পারণ, পশ্চিম চম্পারণ, আরারিয়া, কিষণগঞ্জ জেলাগুলির অবস্থা ভয়ংকর। বহু চাষ জমি জলের তলায় চলে গেছে। ক্রমশ বিভিন্ন এলাকায় জল বাড়ছে। এদিকে বৃষ্টি অবিরাম গতিতে হয়ে চলেছে।
বিহারের মতই পরিস্থিতি উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু অংশের। সেখানেও জল ঢুকছে। নদী ফুঁসছে। মানুষকে বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হচ্ছে। এদিকে আরও খারাপ অবস্থা হয়েছে অসমের। অসমের বন্যা পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ। ক্রমশ মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে। অসমে এখনও পর্যন্ত বন্যায় ধেমাজি, লখিমপুর, বিশ্বনাথ, দারাং, বড়পেটা, নলবারি চিরাং, শান্তিপুর, কামরূপ, ধুবরি, তিনসুকিয়া, শিবসাগর, বক্সা, মাজুলী, গোলাঘাট, যোরহাট ও ডিব্রুগড় জেলার বহু গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে।
৮ লক্ষের ওপর মানুষ বন্যা বিধ্বস্ত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। ধেমাজি ও লখিমপুরের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। দেড় হাজারের ওপর গ্রাম বন্যার জলের তলায় চলে গেছে। বহু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেখানে মানুষ এখনও রয়েছেন সেখানে পানিয় জল ও খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ব্রহ্মপুত্র নদ যোরহাট, শান্তিপুর, কামরূপ, গোয়ালপাড়া ও ধুবরি জেলায় বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। আপাতত ৬৮টি ত্রাণ শিবির খোলা রয়েছে। প্রশাসন পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। রবিবার থেকে অসমে বৃষ্টি কমার কথা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা