বিহারের প্রবল বন্যায় এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একথা নিজেই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহারে ২ সপ্তাহ আগেও প্রায় খরা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। একটু বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছিলেন মানুষজন। আর তার ঠিক পরেই যে প্রবল বর্ষণ শুরু হয় সেখানে যে এখন বিহারের প্রায় সব নদীগুলিই বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। হুহু করে জল ঢুকছে বিভিন্ন এলাকায়। মানুষ ঘর ছেড়ে পরিবার নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালাচ্ছেন।
গত সোমবারই আকাশপথে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর এদিন বিধানসভায় জানান, বন্যা বিধ্বস্তদের জন্য ত্রাণ ও উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নীতীশ কুমার জানিয়েছেন বর্ষায় পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনে আরও ত্রাণ শিবির তৈরি করা হবে। বন্যায় বিহারের উত্তর ও পূর্ব অংশের শোচনীয় পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান, এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ২৫ হাজার বন্যা দুর্গত মানুষকে নিরাপদ স্থানে তুলে আনা হয়েছে। ২৬টি উদ্ধারকারী দল কাজ করছে।
বিহারের ১২টি জেলা ভয়ংকরভাবে বন্যার কবলে পড়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে ১৯৯টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বহু মানুষকে তুলে আনা হয়েছে। তাঁদের খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বহু গ্রাম জলের তলায় চলে গেছে। গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। গবাদি পশুর মৃত্যু ও ফসলের ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিহারের পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর করে তুলেছে নেপালের বন্যা। নেপাল থেকেও জল উত্তর বিহারে ঢুকছে। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, ৩৩৫টি গ্রামের রাস্তা ও বেশ কিছু ছোট সেতু জলের তোড়ে ধুয়ে গেছে। বিহারে প্রতি বছরই বন্যা হয়। জলের তোড়ে বহু মানুষের ক্ষতি হয়। প্রাণ যায়। এসব নিয়ে সরকার উদাসীন বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। যদিও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন তাঁর প্রশাসন ত্রাণ ও উদ্ধারের সব চেষ্টা চালাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা