পায়ে পিষে এক মহিলা ও তাঁর ১০ বছরের কন্যাকে হত্যা করল দাঁতাল হাতি। ওই মহিলার ঘরও তছনছ করে দিয়েছে হাতির পাল। হাতির সঙ্গে কিছু করেননি তাঁরা। ঘরের মধ্যেই ছিলেন, যখন হাতির পাল হানা দেয় গ্রামে। এমন ঘটনা নতুন নয়। হাতির পালের হানায় ঝাড়খণ্ডের অনেক গ্রামই তটস্থ হয়ে তাকে। কখন যে কোন গ্রামে হামলা করার ইচ্ছা হবে হাতির পালের তা বোঝা দায়।
মঙ্গলবার সকালে গিরিডির কোশী-কেঞ্ঝিয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে একটি দাঁতাল হাতির পাল। গ্রামে ঢুকেই তাণ্ডব শুরু করে তারা। কাঁচা বাড়িগুলিকে তছনছ করতে থাকে। সেসময় ঘরের মধ্যই ছিলেন বছর ৫৫-র তুলিয়া দেবী। সঙ্গে ছিল তাঁর ১০ বছরের মেয়ে মেহতি কুমারী। তাঁদের ঘর ভেঙে ফেলার পর তাঁদের নাগালে পেয়ে যায় একটি দাঁতাল হাতি। তেড়ে যায় মা-মেয়ের দিকে। তারপর পা দিয়ে ২ জনকে পিষে মেরে দেয়।
গ্রামে হাতির হামলার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বন কর্মীরা। যদিও ততক্ষণে হাতির পাল যা তাণ্ডব চালানোর চালিয়ে সেখান থেকে চলে গেছে। মৃত মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। মৃতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয় বন বিভাগ। ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন গ্রামে ঢুকে হাতির হামলা, হত্যা নতুন কিছুই নয়। ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে হাতির হামলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা