ফের নরখাদকের হানা। সেই করবেট ন্যাশনাল পার্কেই। উত্তরাখণ্ডের করবেট টাইগার রিজার্ভে এই নরখাদকের হদিস মিলেছে। কুমায়ুন জেলার কালাগড় এলাকায় এই নরখাদক বাঘের খোঁজ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই তার শিকার হয়েছেন এক যুবক। বিখ্যাত বাঘ শিকারি জিম করবেটের লেখায় বারবার এই কুমায়ুন জেলার নাম এসেছে। এখানকার নরখাদকের কথা উঠে এসেছে। সেই এলাকায় এখনও যে নরখাদক বাঘ ঘোরে তার হাতে গরম উদাহরণ মিলল।
কালাগড়ের ঘন জঙ্গল থেকে এক যুবকের আধ খাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। নাম সোহন সিং। সোমবার তাঁকে বাঘে টেনে নিয়ে যায়। ঘন জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায়। খোঁজ শুরু হয় সোহন সিংয়ের। অবশেষে মঙ্গলবার এখানে এক ঘন ঝোপের মধ্যে থেকে তাঁর আধ খাওয়া দেহ উদ্ধার হয়। বাকিটা বাঘের পেটে চলে গেছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর নরখাদকের খোঁজ শুরু হয়েছে। এর আগে ৯ জুলাই উত্তরাখণ্ডের পৌরি জেলায় এক নরখাদক লেপার্ডকে খাঁচা বন্দি করেন বন দফতরের কর্মীরা। এলাকার মানুষই লেপার্ডটিকে দেখতে পেয়ে খবর দেন বন দফতরকে। বন দফতরের ফাঁদ পাতা ছাড়া কিছু করার ছিল না। কারণ সে লেপার্ড পাহাড় জঙ্গলের কোথায় লুকিয়ে থাকছে তা খুঁজে বার করা কঠিন। তার ওপর সে একবার যখন মানুষের রক্তের স্বাদ পেয়ে গেছে তখন তার মানুষ দেখলে আক্রমণ করার সম্ভাবনাও প্রবল। তাই ফাঁদ পাতা। আর তাতেই ধরা দেয় লেপার্ড। এক্ষেত্রে এই নরখাদক বাঘকেও খাঁচা বন্দি করা সম্ভব হবে কিনা তা সময়ই বল দেবে।
এক সময়ে জিম করবেটের বাঘ শিকারের বিভিন্ন কাহিনিতে এই এলাকার কথা পাওয়া গিয়েছে। মূলত উত্তরাখণ্ড এলাকার হিমালয়ের তরাই ও পার্বত্য এলাকাতে তখনও বাঘ বা লেপার্ডের হামলা হত। মানুষখেকো বাঘ বা লেপার্ড তখনও বারবার নজরে পড়েছে। গৃহপালিত পশু বা মানুষ ছিল তাদের সফট টার্গেট। যাদের সহজে কব্জা করা যেত। ওই এলাকায় এখনও যে মানুষখেকো রয়েছে তা ফের একবার প্রমাণ করল এই নরখাদক লেপার্ড ও বাঘ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা