বড়দিনে সিমলা! তায় আবার বাড়তি পাওনা মাথার ওপর ঝুরঝুর করে পড়তে থাকা দুধসাদা বরফ! একেই বোধহয় বলে সোনায় সোহাগা। সিমলায় বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা এখন সারা দেশের ঈর্ষার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কারণ গিয়েছিলেন তো স্রেফ বড়দিনের ছুটিটা সিমলায় বসে উপভোগ করতে। তুষারপাত ছিল দুরাশা। কিন্তু হঠাৎ সেটাই সত্যি হয়ে গেল। মাথার ওপর ঝরতে থাকা বরফে পর্যটকদের খুশি বাঁধ ভাঙল। শুধু রবিবার বলেই নয়, রাতের পর সোমবার সকাল থেকেও তুষারপাত চলেছে নাগাড়ে। খতিয়ান বলছে ১৯৯১ সালে শেষবার ডিসেম্বরের শেষে তুষারপাত দেখেছে সিমলা। তারপর সেই দৃশ্য ছিল নেহাতই অধরা। ফের ২৫ বছর পর সিমলায় ডিসেম্বরের শেষে তুষারপাত হল। আর এতটাই হল যে আশপাশের সব রাস্তা বরফের পুরু চাদরে হারিয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। কিন্তু তাতে কী! মরসুমের প্রথম তুষারপাতে এখন আনন্দে আত্মহারা সিমলা। যদিও গত ২১ ডিসেম্বরও সিমলার তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ২২ ডিগ্রিতে। হাওয়া অফিসের দাবি, এটাই ছিল সিমলায় ২১ ডিসেম্বরের উষ্ণতম দিন। এমন গরম সিমলায় আবহাওয়া বদলাতে শুরু করে মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে। আর তারপরই সোজা তুষারপাত। এদিকে সিমলায় যখন বরফ পড়ছে তখন পঞ্জাব, হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় ভাল বৃষ্টি হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে ঘন কুয়াশার দাপট। কুয়াশার দাপটে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে ট্রেন চলাচল ব্যাহত। প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও।