পুণ্যার্থীদের ওপর হুড়মুড়িয়ে নেমে এল হিমবাহ। এমনই এক আতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে হিমাচল প্রদেশের কুলু জেলায়। এখানেই রয়েছে শ্রীখণ্ড মহাদেব শিবলিঙ্গ। এখানে পৌঁছনোর রাস্তা নেহাত সহজ নয়। দুর্গম সেই পথ অতিক্রম করেই পুণ্যার্থীরা হাজির হন শ্রীখণ্ড মহাদেব দর্শনে। সেখানেই মঙ্গলবার যাত্রাপথে পুণ্যার্থীদের ওপর নেমে আসে একটি হিমবাহের অংশ। যাতে মৃত্যুও হতে পারত। কিন্তু ৪ জন পুণ্যার্থী আঘাত পেয়েছেন। মৃত্যু তাঁদের কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেছে।
শ্রীখণ্ড মহাদেবের শিবলিঙ্গ অবস্থিত পাহাড়ের ১৭ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতায়। এখানে কোনও পুণ্যার্থীকেই বিনা মেডিক্যাল টেস্ট বা স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ওপরে উঠতে দেওয়া হয়না। খুব কম পুণ্যার্থীই তাই এখানে যাওয়ার ছাড়পত্র পান। এ বছরই ১৫ হাজার পুণ্যার্থী শ্রীখণ্ড মহাদেবে পৌঁছবেন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। পাহাড়ের অতটা উচ্চতায় ওঠার জন্য দুর্গম পথ পাড়ি দেওয়ার সময় আচমকাই মঙ্গলবার রাতে নেমে আসে একটি হিমবাহের অংশ। প্রবল বৃষ্টির কারণই হিমবাহে ভাঙন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
রাতেই পুণ্যার্থীদের উদ্ধার করার কাজ শুরু হয়। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। শ্রীখণ্ড মহাদেব পর্যন্ত পৌঁছতে পুণ্যার্থীদের ১০ দিন লাগে। এই ১০ দিনের কঠিন যাত্রা খুব মানুষই অতিক্রম করতে পারেন। জাঁও নামে জায়গা থেকে এই যাত্রা শুরু করেন পুণ্যার্থীরা। ওঠার আগে তাঁদের পুলিশের কাছে নাম নথিভুক্ত করে যেতে হয়।
এই কঠিন পথ অতিক্রম করে যাঁরা লিঙ্গের কাছে পৌঁছতে পারেন তাঁরা ওই ১৭ হাজার ৬০০ ফুট উচ্চতায় ৭২ ফুট উঁচু অতিকায় শিবলিঙ্গের দর্শন করতে পারেন। পুজো দিতে পারেন। এত কষ্ট সহ্য করে ওই পর্যন্ত পৌঁছনও পুণ্যার্থীদের কাছে খুব বড় পাওয়া। কথিত আছে এই শিখণ্ড পাহাড়ের ওপর বসেই মহাদেব ধ্যান করেছিলেন। আবার পাণ্ডবরা ১২ বছর বনবাস কালে এই দুর্গম পথ অতিক্রম করে শ্রীখণ্ড মহাদেবের কাছে পৌঁছেছিলেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা