তখন প্রায় মধ্যরাত। রাস্তায় গাড়ি অনেকটাই কম। সেই সময় একটি গাড়ি দুরন্ত গতিতে ছুটে এসে প্রথমে ট্রাফিক সিগনালের তোয়াক্কা না করে তা ভেঙে এগিয়ে যায়। তারপর গিয়ে ধাক্কা মারে একটি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পিছনে। ধাক্কা মারার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই গাড়ি চড়ে যায় ডিভাইডারের ওপর। সেখানে একটি ইলেকট্রিক পোলে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়িটি। যে গাড়ির পিছনে এটি ধাক্কা মারে সেই গাড়িতে তখন ছিলেন ৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান। তাঁদের ৩ জনই আহত হন।
দ্রুত ৩ সিআরপিএফ জওয়ান কনস্টেবল ড্রাইভার বিনোদ কুমার, বাবু লাল যাদব ও নরেন্দ্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৪ বছরের নরেন্দ্র সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছিলেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানাচ্ছে, একটি মার্সিডিজ গাড়ি নিয়ে রাতে বেড়িয়েছিল এক ব্যবসায়ীর ছেলে। কিশোর বয়সে রাত্রি সফরে বেরিয়ে সম্ভবত সে গতির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারায়। সানিধ্য গর্গ নামে ওই কিশোরের মার্সিডিজ যখন ইলেকট্রিক পোলে ধাক্কা মারে তখন গাড়ির এয়ার ব্যাগ খুলে যায়। ধাক্কা এতটাই তীব্র ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, সানিধ্য গর্গ লন্ডনে পড়াশোনা করে। সেখানে কমার্স নিয়ে পড়ছে সে। দিল্লিতে বাড়িতে এসেছিল ছুটি কাটাতে। রাতে বেরিয়ে পড়েছিল মার্সিডিজ নিয়ে। নয়ডায় তাদের লোহার ব্যবসা আছে। তবে গাড়ি বেপরোয়াভাবে চালালেও সানিধ্য মদ্যপান করে ছিলনা। এটা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এক সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যুতে এই ঘটনা ঘিরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা