রাত তখন ৪টে। চারিদিকে তখনও আলো ফোটেনি। ভোর হতে তখনও একটু দেরি। চারধার সুনসান। এই সময়ে এক মহিলা এসে হাজির হল পাড়ার নর্দমার কাছে। তার হাতে ধরা রয়েছে একটি প্লাস্টিকের প্যাকেট। এদিক ওদিক দেখে সেই প্যাকেটটি সে ফেলে দেয় নর্দমায়। তারপর দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। পুরো কাণ্ডটা আর কারও নজরে না পড়ুক, নজরে রেখেছিল পাড়ার সারমেয়কুল। ওই মহিলা চলে যেতেই তারা হাজির হয় সেই নর্দমার কাছে। তারপর প্যাকেটটাকে টেনে তুলে আনে।
প্যাকেটের মধ্যে তখন শুয়ে সেই সদ্যোজাত কন্যা। কুকুররা তার ক্ষতি করা তো দূরে থাকে তাকে সাহায্য করতে লড়াই শুরু করে। তাকে ঘিরে রেখে শুরু হয় চিৎকার। তাদের তো আর কিছু করার নেই! তাই চিৎকার করে লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি তাঁদের নজরে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালায় তারা। যাতে কেউ দেখে ওই সদ্যোজাতকে রক্ষা করতে পারে। হয়তো কুকুরগুলির কাছে পরিস্কার ছিল এভাবে সদ্যোজাতটি বাঁচবে না!
কুকুরগুলো এমন চিৎকার করছে কেন? তা দেখতে গিয়ে কয়েকজন দেখেন সেখানে একটি প্লাস্টিকে মোড়া সদ্যোজাত শিশু। দ্রুত পুলিশে খবর যায়। পুলিশ ওই শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠায়। তার চিকিৎসা শুরু হয়। যদিও তার অবস্থা সংকটজনক। তবে নর্দমায় পড়ে থাকলে আর কিছু পরে এমনিই হয়তো মৃত্যু হত ওই শিশুটির। সেখান থেকে বাঁচানোর জন্য পাড়ার কুকুরদের এই লড়াইয়ের কাহিনি এখন মুখে মুখে ঘুরছে।
ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার কৈথাল শহরে। পুলিশ ওই এলাকার সিটিটিভি পরীক্ষা করে পুরো ঘটনার ছবি পেয়েছে। সেখানে এক মহিলাকে প্যাকেটটি ফেলে যেতে দেখা গেছে। অজ্ঞাত পরিচয় ওই মহিলার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। তার পরিচয় খোঁজার চেষ্টা চলছে। সিসিটিভিতে ওই শিশুটিকে বাঁচাতে কুকুরদের লড়াইটাও ধরা পড়েছে। যার তারিফ না করে উপায় নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা