স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিল বহু শিশুর পেট ভরায়। দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা স্কুলে পড়ার পাশাপাশি পেট ভরে খাবার পায়। এই প্রকল্প সারা দেশে যথেষ্ট সফলও। কিন্তু শিশুদের জন্য সেই মিড ডে মিলের রান্না যদি টয়লেটে হয় তাহলে সেখানে তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বৈকি। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। দিনের পর দিন হচ্ছে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার একটি গ্রামীণ শিশু বিকাশ কেন্দ্রে। কারেরা এলাকায় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে মিড মিল রান্নার যথেষ্ট জায়গায় অভাব থাকায় গ্রামীণ শিশু বিকাশ কেন্দ্রের নবনির্মিত টয়লেটই এখন মিড ডে মিল রান্নার প্রাত্যহিক রান্নাঘর। যেখানেই উঠছে রান্নার স্বাস্থ্যকর দিক নিয়ে প্রশ্ন। যে খাবার শিশুদের মুখে তুলে দেওয়া হচ্ছে তা টয়লেটে রান্না করা যেতে পারে কীভাবে! সে প্রশ্ন উঠছে।
যদিও এখানকার অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীরা এ নিয়ে হাত তুলে দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁদের কিছু করার নেই। রান্নার জায়গা নেই। অন্য কোথাও জলের সংযোগ নেই। তাই ওই নতুন তৈরি হওয়া টয়লেটই এখন তাঁদের রান্নাঘর। রাজকুমারী যোগী নামে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী জানিয়েছেন তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তাঁদের টয়লেটকে রান্নাঘর হিসাবে ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাঁদের মিড ডে মিল রান্নার জায়গা কোথায়?
মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের প্রোজেক্ট অফিসার প্রিয়াঙ্কা বাঙ্কার আবার বিষয়টিকে গুরুত্বই দিতে চাননি। তাঁর পাল্টা দাবি স্বাস্থ্যকর নয় কে বলল? ওই টয়লেট তো এখনও পুরো তৈরিই হয়নি। তাছাড়া জলের সংযোগ অন্য কোথাও নেই। তাই টয়লেটেই ওখানে আসা জলে চলছে রান্না। যদিও শিবপুরী জেলায় এটা নতুন নয়। এর আগেও টয়লেটকে মিড ডে মিলের কাঁচা বাজার থেকে তেল, নুন, মশলা রাখার জায়গা হিসাবে ব্যবহার হতে দেখা গেছে এখানে। টয়লেটেই রাখা থাকত রান্নার বাসনপত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা