গত ২৩ এপ্রিল শিশু পুত্রটির জন্ম হয়। কিন্তু জন্মের পরই চিকিৎসকেরা জানান শিশুটির জন্ডিস ধরা পড়েছে। অসুস্থ শিশুকে নিয়ে মায়ের জায়গা হয় হাসপাতালে। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের একটি হাসপাতালে জন্ম হলেও আরও ভাল চিকিৎসার জন্য মা ও শিশুকে লখনউয়ের কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয় গত ২৬ মে। পরিবারও সঙ্গে আসে। সেখানেই ৪ তলায় ভর্তি ছিল মা ও সদ্যোজাত।
হালে শিশুটিকে পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা বাবা-মাকে জানান শিশুটির লিভার অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে তার বাঁচার আশা কম। চিকিৎসকেরা কার্যত হাল ছাড়ার পর ওই সদ্যোজাতকে হাসপাতালের জানালা থেকে সকলের অলক্ষ্যে ছুঁড়ে নিচে ফেলে দেয় তার মা। কিন্তু তারপরই তার সন্তান কোথায় বলে চিৎকার করতে শুরু করে।
ওয়ার্ড থেকে এক মহিলার চিৎকার শুনে অনেকেই হাজির হন। বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ওই মহিলার স্বামী ও দেওর। তাঁরাও ছুটে আসেন। ওই মহিলা তখন তার সন্তানকে ফেরত চায়। অভিযোগ করে তার সন্তান বেপাত্তা। ওয়ার্ডে নেই। সে আরও অভিযোগ করে যে হাসপাতালের কর্মীরাই তার সন্তানকে চুরি করেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ হাজির হয়।
পুলিশ অভিযোগ শোনার পর হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরা পরীক্ষা করা শুরু করে। আর সেখানেই ধরা পড়ে যায় যে ওই মহিলা নিজেই তার সন্তানকে হাসপাতালের জানালা থেকে নিচে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ওই সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হলেও তখন সে মৃত। ওই মহিলাকে তখনই গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃতপ্রায় সন্তানকে নিয়ে জেরবার বলেই সে একাজ করেছে বলে দাবি করেছে ওই মহিলা। তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা