বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সিনিয়র ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টের কাজ করতেন গুলশন দাস। বাড়ি হরিয়ানায়। কিন্তু পরিবার নিয়ে আইআইটি দিল্লির ক্যাম্পাসেই থাকতেন। এখানকার কর্মী হওয়ায় ক্যাম্পাসেই ফ্ল্যাট পান তিনি। ক্যাম্পাসের মধ্যেই থাকত দাস পরিবার। পরিবার বলতে তিনি, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁর মা। তবে পরিবারে অশান্তি ছিল। মাঝেমধ্যে পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠত। যে কথা গুলশনের স্ত্রী সুনিতার মাও জানতেন। শনিবার তিনিই ফোন করেন পুলিশকে। আতঙ্কের সঙ্গে জানান মেয়ে, জামাইকে ফোন করেও তাঁদের ফোন পাচ্ছেন না।
পুলিশ ফোন পাওয়ার পর আইআইটিতে হাজির হয়। সেখানে গুলশনের ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় পায় তারা। ডেকেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে পুলিশ। ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখে সামনের বৈঠকখানায় একটি পাইপে ওড়না জড়িয়ে তা থেকে ঝুলছে গুলশনের দেহ। ভিতরের ঘর থেকে মেলে আরও ২টি ঝুলন্ত দেহ। একটি সুনিতার ও একটি গুলশনের মা কামতার। ২ মহিলা সিলিং থেকে ওড়না দিয়ে পাশাপাশি ঝুলছিলেন। ৩টি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
আইআইটি ক্যাম্পাসের মধ্যে এমন এক ঘটনায় ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বহু পড়ুয়াও ভিড় জমান সেখানে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পুলিশ পায়নি। ৩টি দেহেই কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিলনা। প্রাথমিক তদন্তের পর এটা আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। তবে এখনও তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা