পেটে ব্যথা হচ্ছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। সেদিন তা খুব বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় ঘাটশিলা মহকুমা হাসপাতালে হাজির হন এক মহিলা। সেখানে চিকিৎসক আশরাফ বদর তাঁকে পরীক্ষা করেন। অভিযোগ তিনি এরপর একটি প্রেসক্রিপশন লিখে দেন, যেখানে ওষুধ হিসাবে ওই মহিলাকে কন্ডোমের নাম লিখে দেন ওই চিকিৎসক। মহিলা তা তখন বুঝতে পারেননি। চিকিৎসক ওষুধ দিয়েছেন। তাই তা কিনতে তিনি ওষুধের দোকানে হাজির হন। প্রেসক্রিপশন দেখান। দোকানদার তা দেখে ওই মহিলাকে জানান চিকিৎসক তাঁকে কোনও ওষুধ দেননি। কন্ডোম ব্যবহার করতে দিয়েছেন।
দোকানদারের কাছে একথা শুনে ওই মহিলা প্রেসক্রিপশন নিয়ে সোজা হাজির হন ওই হাসপাতালের এক প্রবীণ চিকিৎসকের কাছে। তিনি বিষয়টি দেখেই বুঝতে পারেন, সকলকে জানিয়ে দেন। বিষয়টি এরপর আর হাসপাতালের মধ্যেই আটকে থাকেনি। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার স্থানীয় বিধায়ক বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করেন। সরকারি হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানিয়ে প্রতিবাদে মুখর হন। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় হৈচৈ শুরু করেন বিরোধীরা।
চাপে পড়ে ঝাড়খণ্ড সরকার। এরপরই ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার ঘাটশিলা মহকুমা হাসপাতালের পার্টটাইম চিকিৎসক আশরাফ বদরের এই প্রেসক্রিপশন তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে। ঘোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে প্রবীণ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এমন প্রেসক্রিপশন তিনি দেননি বলে জানিয়েছেন আশরাফ বদর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা