National

গা ভর্তি ১৬ কেজি সোনার গয়না, চমকে দিলেন গোল্ডেন বাবা

সারা গা ভর্তি গয়না। তাঁকে কম দেখা যায়। তাঁর গয়না নজরে পড়ে বেশি। হবে নাই বা কেন! সারা গা জুড়ে খাঁটি সোনার গয়না ভর্তি। মুখ আর পা বাদ দিলে গলা থেকে কোমর গয়নায় ঠাসা। ১৬ কেজি সোনা বলে কথা! হাতের সব আঙুলে সোনার আংটি, দুহাত জুড়ে ব্রেসলেট, গলায় মোটা মোটা সোনার চেন, বিভিন্ন দেবদেবীর সোনার লকেট। এই পরিমাণ গয়না পড়েই তিনি রাস্তায় ঘোরেন। গায়ে গেরুয়া বসন। কপালে তিলক। মাথায় জটা। দাড়ি অন্য সাধু মহাত্মার মতনই।

১৬ কেজি গয়না শুনে যাঁরা আঁতকে উঠছেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই এই পরিমাণ গয়না সাধুবাবা নিরুপায় হয়ে পড়ছেন। আসলে তিনি ২৬ কেজি গয়না পড়েই অভ্যস্ত। কিন্তু এখন বয়স বেড়েছে। ফলে ১০ কেজি অতিরিক্ত ওজন শরীরে বহন করে বেড়ানোয় শারীরিক দিক থেকে সমস্যা হচ্ছে। তাই নিরুপায় হয়ে কমাতে হয়েছে সোনার ভার! তাই আপাতত ১৬ কেজি গয়না পরেই চালিয়ে নিতে হচ্ছে দিন।


সাধুবাবা ইতিমধ্যেই গোল্ডেন বাবা হিসাবে পরিচিত। এসেছেন উত্তরপ্রদেশের কানোয়ারে। শ্রাবণ মাসে কানোয়ারে শিবভক্তদের ভিড় জমে। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজির হন অনেক সাধু মহাত্মাও। গোল্ডেন বাবার আসল নাম সুধীর মক্কর। তিনি জানিয়েছেন, জীবন শুরু করেছিলেন মাত্র ২-৩ গ্রাম সোনা পরে। তারপর সেখান থেকে পৌঁছন ২৬ কেজি অলংকারে ভূষিত হয়ে বার হওয়ায়। এই পুরো গয়না তাঁর নিজের রোজগারের অর্থে কেনা বলেও জানিয়েছেন গোল্ডেন বাবা।

কানোয়ারে গোল্ডেন বাবা এখন অন্যতম আকর্ষণ। যদিও তিনি জানান গত ২৬ বছর ধরে কানোয়ারে আসছেন শ্রাবণে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ২৫০-৩০০ জন পুরুষ। এঁরাও সকলে কানোয়ারে এসেছেন। এঁদের সঙ্গে আনার পাশাপাশি এঁদের সকলের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য গোল্ডেন বাবার সঙ্গে থাকে যথেষ্ট খাবারদাবারের বন্দোবস্ত। থাকে পর্যাপ্ত পানিয় জল। কেউ অসুস্থ হলে যাতে তখনই তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো যায় সেজন্য থাকে অ্যাম্বুলেন্সও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button