বুধবার দেশ জুড়ে যত সরকারি হাসপাতাল রয়েছে, সেখানে ওপিডি পরিষেবা মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে। চিকিৎসকেরা ধর্মঘট ডাকায় রোগীরা এই পরিষেবা থেকে বুধবার বঞ্চিত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে ওপিডি সহ জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ রাখতে চলেছেন চিকিৎসকেরা। তবে জরুরি নয় এমন পরিষেবা বন্ধ রাখা ধর্মঘটের অংশ হলেও খোলা থাকবে জরুরি পরিষেবা, আইসিইউ সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা বিভাগ চলবে। স্বাভাবিক ভাবেই চিকিৎসা পাবেন রোগীরা।
সোমবারই লোকসভায় পাশ হয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল। বিলে বলা হয়েছে সাড়ে ৩ লক্ষ জনস্বাস্থ্য কর্মীকে আধুনিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করার লাইসেন্স দিতে চলেছে সরকার। এই লাইসেন্স হাতে থাকলে তিনি নিশ্চিন্তে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। রোগী দেখতে পারবেন। ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন রোগীদের। গত সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেন, এতে গ্রামের মানুষের সুবিধা হবে। অনেক গ্রামেই চিকিৎসক মেলা ভার হয়। চিকিৎসক নেই সেসব গ্রামে। সেখানে পরিষেবা পৌঁছে যাবে। বহু মানুষ চিকিৎসা পাবেন।
এই বিলের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়েছে চিকিৎসক মহল। তাদের দাবি এতে হাতুড়ে চিকিৎসক দেশে ছড়িয়ে পড়বে। ফার্মাসিস্ট, নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট বা অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা সরাসরি চিকিৎসার লাইসেন্স পেয়ে যাবেন। যা দেশে চিকিৎসার মানকে অনেকটাই নামিয়ে দেবে। চিকিৎসার গুণগত মান পড়ে যাবে। এই বিলকে হাতুড়ে চিকিৎসার আইনি ছাড়পত্র বলে ব্যাখ্যা করেছেন চিকিৎসকেরা। বিলের প্রতিবাদ করে বুধবার দেশ জুড়ে সরকারি হাসপাতালগুলিতে ওপিডি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
চিকিৎসা পরিষেবা ওপিডিতে বন্ধ থাকার পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ডাক্তারি ছাত্রদেরও ক্লাস বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে। দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের এই আন্দোলন কিন্তু বুধবার ওপিডি পরিষেবাকে স্তব্ধ করতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বহু রোগী এই সমস্যার শিকার হবেন। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই পরিষেবা বন্ধ থাকতে চলেছে চিকিৎসকদের ধর্মঘটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা