গত রবিবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ১৫ বছরের কিশোর খালিদকে ভর্তি করা হয় বারাণসীর হাসপাতালে। ওই অবস্থায় পুলিশকে বয়ানও দেয় সে। কিন্তু মঙ্গলবার মৃত্যু হল তার। অভিযোগ ছিল ‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় খালিদকে ৪ জন ব্যক্তি মারধর করে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। খোলা মাঠে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ওই কিশোর। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনা ঘিরে ফের সরব হন বিরোধীরা। যদিও তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি ওই কিশোর নিজেই নিজের গায়ে আগুন দেয়। আর তার প্রত্যক্ষদর্শী আছে। ওই প্রত্যক্ষদর্শীই পুলিশকে জানান ওই কিশোর নিজেই নিজের গায়ে গত রবিবার আগুন ধরিয়ে দেয়। ২ বার নিজের বয়ানও ওই কিশোর বদল করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলির পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সিং জানিয়েছেন ওই কিশোর ২ বার ২ রকম বয়ান পুলিশকে দিয়েছে। একবার সে বলে মহারাজপুর গ্রামে তার সঙ্গে ৪ ব্যক্তির দেখা হয়। ওই ৪ ব্যক্তি তাকে জয় শ্রীরাম বলতে বলে। সে না বলতে চাওয়ায় তাকে মাঠের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসপি জানান, পরে এই বয়ান বদলে খালিদ জানায় তাকে ৪ ব্যক্তি অপহরণ করে হাতিজা গ্রামে নিয়ে যায়। পুলিশের দাবি মহারাজপুর আর হাতিজা গ্রাম ২টি ২ প্রান্তে অবস্থিত। এদিকে চান্দৌলির এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তাল হয় সংসদ। বিরোধীরা বিষয়টি নিয়ে সরকারকে তোপ দাগেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা