একই ক্লাসে পড়ে তারা। দুজনেই দশম শ্রেণির ছাত্র। স্কুলটি কো-এড এবং রেসিডেন্সিয়াল। সেখানে হস্টেলে থেকে পড়া যায়। ছাত্রছাত্রীরা একসঙ্গেই ক্লাস করে। এখানেই ২ সহপাঠীর মধ্যে ঝগড়া লাগে। এমন তো হয়েই থাকে। ২ সহপাঠীর মধ্যে কতই তো ঝগড়া হয়। তাবলে কেউ কাউকে হত্যা করবে? কিন্তু তেমনই ঘটনার সাক্ষী হল তামিলনাড়ুর কোদাইকানালের ওই স্কুল।
দুজনের প্রথমে ঝগড়া লাগে। তারপর এক ছাত্র কপিল রাঘবেন্দ্র নামে তারই সহপাঠীকে কাঁচি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। পরে ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়েও মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রের। রাঘবেন্দ্রের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়ায় অন্য সহপাঠীদের মধ্যে। এভাবে ঝগড়া যে খুনে গড়াবে তা বোধহয় তারা কল্পনা করতে পারেনি।
অভিযুক্ত ছাত্রকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে সে তার দোষ স্বীকার করেছে। জানিয়েছে সেই রাঘবেন্দ্রকে হত্যা করেছে। তাকে আপাতত একটি হোমে পাঠিয়েছে পুলিশ। জুভেনাইল আইনে ১৮ বছরের কম বয়সীকে হোমেই পাঠাতে বাধ্য থাকে পুলিশ। মৃত রাঘবেন্দ্র তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরি জেলার বাসিন্দা। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা