এমন ঘটনা এর আগে বিশ্বের চিকিৎসা ইতিহাসে নেই। এটাই প্রথম। ফলে চিকিৎসকদের আগাম কোনও ধারনা ছিলনা। মাত্র ৭ বছর বয়স ছেলেটির। তারই মুখে অস্ত্রোপচার করে বার হল ৫২৬টি দাঁত। বিভিন্ন মাপের দাঁত। ছোট, বড়, মাঝারি। সব ধরনের দাঁতই ছিল। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চোয়াল কেটে তার ভিতর থেকে একটি থলির মত অংশ পান। যার ওজন ছিল ২০০ গ্রাম। সেই থলির মধ্যেই তৈরি হয়েছিল ৫২৬টি দাঁত। এর মধ্যে এমন কয়েকটি অতি ক্ষুদ্র দাঁতও মিলেছে যেগুলি দাঁত কিনা পরীক্ষা করে দেখা হয়। যেখানে দেখা যায় একটি দাঁতের উপাদানই ওগুলির মধ্যে রয়েছে। অর্থাৎ সেগুলিও দাঁত।
ওই বালকের যখন ৩ বছর বয়স। তখনই তার বাবা-মা লক্ষ্য করেন ছেলের চোয়ালের কাছটা ফুলে যাচ্ছে। তখন ফোলা এতটাও ছিলনা যে তা নিয়ে চিন্তার দরকার ছিল। অত ছোট ছেলে সব ধরনের পরীক্ষা করতেও দিত না। কান্না জুড়ে দিত। তাই তখন বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেই ফোলাটা বাড়তেই থাকে। বাড়তে বাড়তে যখন তার ৭ বছর বয়স, তখন এমন পরিস্থিতি হয় যে আর ঝুঁকি নেননি বাবা-মা। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসেন ছেলেকে। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষার পর তার এক্স-রে ও সিটি স্ক্যান হয়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।
অস্ত্রোপচারের সময় ওই বালকের চোয়াল কাটা হয়। তখনই তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে একটি থলের মত বস্তু। সেটি কাটতেই তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে একটি একটি করে ৫২৬টি দাঁত। এমন ঘটনা সারা বিশ্বের চিকিৎসা ইতিহাসে নেই। এই প্রথম এমন ঘটনার সাক্ষী হলেন চিকিৎসকেরা। ৫ ঘণ্টা লাগে এই বিরল অস্ত্রোপচার করতে। তবে অস্ত্রোপচারের পর ওই বালক ভাল আছে। তার মুখের ফোলাটা গায়েব হয়েছে। এই বিরল অস্ত্রোপচারের ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের সবিতা ডেন্টাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা