National

বাড়ছে সেনা মোতায়েন, অশনি সংকেত দেখছেন উপত্যকার বাসিন্দারা

তেল, মশলা, শুকনো খাবার, গুঁড়ো দুধের প্যাকেট, অনেক দিন রাখা যাবে এমন খাবারদাবার। এসব কিনতে এখন ভিড় উপচে পড়ছে। দোকানে তিল ধারণের জায়গা নেই। চিত্রটা শুধু শ্রীনগরের নয়, গোটা জম্মু কাশ্মীর জুড়েই আমজনতা এখন ঘরে খাবারদাবার মজুত করতে ব্যস্ত। আর ব্যস্ত ওষুধ কিনে রাখতে। তেমন পরিস্থিতি হলে যাতে বেঁচে থাকার মত পরিস্থিতিতে কোনও সমস্যা না হয়।

এই সপ্তাহের শুরুতেই অতিরিক্ত ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল জম্মু কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায়। ফের বৃহস্পতিবার মোতায়েন করা হয় ২৫ হাজার সেনা। যা জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দাদের অশনি সংকেত বলেই মনে হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকেই বিভিন্নভাবে তাঁদের জানানো হয়েছে যে স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে পাকিস্তান ভারতের জম্মু কাশ্মীরে বড় ধরনের হামলার ছক কষছে। ফলে কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় সরকার। সেনা প্রধান নিজে এসে সব বন্দোবস্ত দেখে গেছেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন।


জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা অজিত দোভাল নিজেও ঘুরে গেছেন। দেখে গেছেন সুরক্ষা বন্দোবস্ত। এছাড়া টিভি ও রেডিও স্টেশন সহ বেশ কিছু বিশেষ জায়গায় আলাদা করে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকাতেও। সেনার এই সাজ সাজ রব কিন্তু উপত্যকার আমজনতার মনে অশনি সংকেতের জন্ম দিয়েছে। তবে কী যুদ্ধ লাগছে? এমন পরিস্থিতি হবে যে ঘর থেকে বার হওয়া মুশকিল হবে? জিনিসপত্র পাওয়া যাবে না? এমন নানা আশঙ্কা মনে নিয়ে জিনিসপত্র ঘরে মজুত করা শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে পাকিস্তানের দিক থেকে যে কোনও মুহুর্তে বড় ধরনের হামলা হতে পারে। তাই সব দিক থেকে তৈরি থাকতে চাইছে ভারত। এর মধ্যেই ভারতীয় সেনার লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদাধিকারী কেজেএল ধিলোঁ দাবি করেছেন কাশ্মীরে যে যুবকরা এক সময়ে সেনাকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ত, তারাই এখন অস্ত্র তুলে নিয়েছে। এরা অস্ত্র হাতে রাখলে বেশিদিন বাঁচবে না বলেও কড়া হুমকি দিয়েছেন তিনি। ফের একবার কাশ্মীরের মায়েদের কাছে তাঁর অনুরোধ সন্তানদের বারণ করুন অস্ত্র তুলে নিতে। না হলে তাদের শোচনীয় পরিণাম ভুগতে হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button