পেশায় আনাজ বিক্রেতা। বিক্রিবাটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফিরেছিল বছর ২৬-এর সনু। বাড়িতে তার স্ত্রী অঞ্জলি ও ২ সন্তান রয়েছে। বাড়ি ফিরে দরজা খুলে সনু দেখে তার স্ত্রী অঞ্জলি হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলছেন। কার সাথে কথা বলছেন স্ত্রী? দেখতে গিয়ে সনু দেখে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ কলে ব্যস্ত ছিলেন অঞ্জলি। দেখা মাত্র রাগে ফুঁসতে থাকে সনু। শুরু হয় ঝগড়া। এরপর রাগে অন্ধ হয়ে স্ত্রীকে জোর করে ধরে মশা মারার তেল খাইয়ে দেয় সে।
মশা মারার তেল খাইয়েও শান্ত হয়নি সনু। এরপর একটি কাপড় এনে স্ত্রীয়ের গলায় পেঁচিয়ে ধরে টান দিতে থাকে। শ্বাসরোধ হয়ে যায় অঞ্জলির। এরপর ঠান্ডা মাথায় স্ত্রীয়ের দেহ তুলে নিয়ে গিয়ে বাড়ির কাছের একটি ফাঁকা জমিতে ফেলে দিয়ে আসে সে। এই পুরো ঘটনা যখন ঘটে তখন অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিল সনু ও অঞ্জলির ৪ ও ৬ বছরের সন্তান।
মেয়ে অঞ্জলিকে খোঁজ করতে এসে বাড়িতে না পেয়ে সন্দেহ হয় অঞ্জলির বাবার। তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নামে। এরপর গত বৃহস্পতিবার সাদামপুরী এলাকার ঝোপঝাড় ভর্তি ফাঁকা জমিটি থেকে অঞ্জলির দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাটি ঘটেছে আগ্রা শহরে। এই ঘটনায় সনুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পর অঞ্জলির দেহ তার বাপের বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা