গত ৭ জুলাই ছিল তাঁর জন্মদিন। ১৯ বছর পূর্ণ হল। ২০ বছরে পা দিলেন। সেই খুশিতে বার্থডে পালন করার জন্য তাঁর ৪ পুরুষ বন্ধু তাঁকে চাপ দিতে থাকেন। একসঙ্গে তাঁর জন্মদিন পালন করার জন্য বন্ধুদের পীড়াপীড়িতে অবশেষে রাজি হতে বাধ্য হন তরুণী। ঠিক হয় ৪ বন্ধুর একজনের বাড়িতেই হবে বার্থডে পার্টি।
সেইমত ৭ জুলাই সন্ধেবেলা ওই তরুণী হাজির হন বন্ধুর বাড়িতে। সেখানে হ্যাপি বার্থডে গেয়ে কেকও কাটা হয়। এ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু তারপরই ওই ৪ বন্ধু তরুণীকে জোর করতে থাকে। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। ৪ বন্ধুর আদিম লালসায় ধর্ষণের শিকার হতে হয় ওই তরুণীকে।
ঘটনাটি ঘটে মুম্বইতে। এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত ওই তরুণী ফিরে যান তাঁর নিজের শহর ঔরঙ্গাবাদে। কিন্তু গণধর্ষণের কথা না তো নিজের পরিবারকে জানান। না জানান পুলিশকে। কটা দিন বাড়িতে কাটে তাঁর। কিন্তু তারপর শুরু হয় যৌনাঙ্গে যন্ত্রণা। ক্রমশ সেই যন্ত্রণা বাড়তে থাকে।
এই অবস্থায় তরুণীর পরিবারের লোকজন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষার পর কিন্তু বুঝতে পারেন এই যন্ত্রণার কারণ গণধর্ষণ। তাই দ্রুত তিনি পুলিশে খবর দেন। গত ৩০ জুলাই ওই তরুণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানেই ওই তরুণী অবশেষে স্বীকার করেন গণধর্ষণের ঘটনা। কীভাবে কী ঘটেছিল তাও জানান পুলিশকে।
আপাতত ওই তরুণীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর যৌনাঙ্গে একাধিক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। যা যথেষ্ট সংকটজনক। এদিকে ঘটনাটি যেহেতু মুম্বইতে ঘটেছে তাই মুম্বই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ৪ অভিযুক্ত তরুণকে পাকড়াও করতে পুলিশের একটি দল ঔরঙ্গাবাদেও হাজির হয়েছে। এদিকে ওই তরুণীকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা