ঠাকুরদা, ঠাকুমা, বাবা, মা, বোন ও তার ৩ বছরের সন্তান। এই নিয়ে সংসার ছিল ২৭ বছরের যুবকের। স্ত্রী নেই। সেই যুবকই ঘটাল এক ভয়ংকর ঘটনা। এক এক করে পরিবারের ৬ জনকে গুলি করল সে। তারপর নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হল। গুলিতে ঠাকুমা, মা, বাবা, বোন ও তার ৩ বছরের কন্যা সন্তানের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। কিন্তু নিজেকে গুলি করে হত্যা করার আগে বোধহয় যুবকের চোখ এড়ায় যে গুলি খাওয়ার পরও তার ঠাকুরদা বেঁচে আছেন।
পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে ভর্তি করে। গুলি তাঁর প্রাণ কাড়তে পারেনি। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার রাতে। পঞ্জাবের মুগার নাথুওয়াল গ্রামে। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বহু মানুষ ভিড় জমান ওই বাড়ির সামনে। পুলিশও এমন ঘটনায় হতবাক। একের পর এক বুলেটবিদ্ধ দেহ বার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।
গোটা পরিবারকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করে কেন ওই যুবক আত্মঘাতী হল? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পরিস্কার নয় পুলিশের কাছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। তবে সেখান থেকে এখনও এমন কোনও তথ্য পুলিশ পায়নি যা থেকে তারা যুবকের এমন কাণ্ডের কারণ খুঁজে পেতে পারে। পারিবারিক অশান্তি থেকেই কী তবে এমন চরম পদক্ষেপ করল ওই যুবক। খতিয়ে দেখছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা