স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় খারাপ ফল করায় আয়ুষ্মান নামে এক ছাত্রকে বকাঝকা করেন অভিভাবকরা। বাবার কাছে এজন্য চড়ও খায় সে। তারপর থেকেই মনমরা ছিল ১৭ বছরের ওই কিশোর। গত শনিবার সকালে ছিল স্কুলে শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠক। সেজন্য আয়ুষ্মানের মা স্কুলে যান। তিনি ছেলেকে বলেন সেও যেন তাঁর সঙ্গে স্কুলে যায়। আয়ুষ্মান সহজভাবেই মাকে জানায় সে স্কুটিতে তেল ভরেই স্কুলে চলে আসবে। এই বলে স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে যায় সে।
স্কুটিতে তেল ভরার জায়গায় এরপর আয়ুষ্মান পৌঁছয় একটি ঝোপ জঙ্গল হওয়া জায়গায়। সেখানে কেউ তখন ছিলেননা। এমন জায়গায় কেউ থাকেনও না। সেখানেই পকেট থেকে বাবার পিস্তল বার করে নিজের মাথায় গুলি করে আয়ুষ্মান। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। খবর যায় পরিবারের কাছে।
আয়ুষ্মানের বাবা যোগেন্দ্র সিং সেনগর পিডব্লিউডির-র কনট্রাক্টর। তাঁর পিস্তলটির লাইসেন্স রয়েছে। সেই পিস্তলেই নিজেকে হত্যা করল ছেলে আয়ুষ্মান। ঘটনার জেরে গোটা পরিবারের চোখের জল বাধ মানছে না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরের গোবিন্দনগর এলাকায়।
পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট হলে অনেক সময় অভিভাবকরা বকাঝকা করে থাকেন। তার জন্য এমন চরম সিদ্ধান্ত কিন্তু এক ধরনের মানসিক ব্যধি বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা। যা ইদানিং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বেড়েই চলেছে। এক্ষেত্রে কী সন্তানের কাছ থেকে অতিরিক্ত প্রত্যাশাই সর্বনাশ ডেকে আনছে। সে প্রশ্নও উঠছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা