স্কুলে সহপাঠীদের সঙ্গে কয়েকদিন আগে ঝগড়া হয় এক ছাত্রের। সকলেই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। ঝগড়া মেটাতে এসে ওই ছাত্রকে সজোর চড় কষান এক শিক্ষক। ওই ছাত্র একথা বাড়িতে জানানোর পর তার অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা করেন। কিন্তু সেই অভিযোগ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণে তারা রাজি নয় বলে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ।
অধ্যক্ষ বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়ায় ওই ছাত্রের বাবা-মা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা স্কুলকে বলেন তাঁরা ওই স্কুলে তাঁদের সন্তানকে আর পড়াতে চান না। স্কুল যেন তাকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট বা টিসি ইস্যু করে দেয়। তাঁরা ছেলেকে এই স্কুল থেকে ছাড়িয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করবেন। এরপরই স্কুল টিসি দিয়ে দেয় ওই ছাত্রকে। টিসিতে ওই ছাত্রকে ‘চরিত্রহীন’ বলে ব্যাখ্যা করা হয়।
সন্তানকে চরিত্রহীন ছাত্র বলে ব্যাখ্যা করেছে স্কুল। ফলে সে আর অন্য স্কুলে ভর্তিই হতে পারবেনা। এটা বিলক্ষণ বুঝতে পারেন অভিভাবকরা। তাঁদের এখন মাথায় হাত পড়েছে। তাঁদের দাবি, স্কুলের অধ্যক্ষ তাঁদের সন্তানের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে জেলা শিক্ষা আধিকারিক বিষয়টি জানতে পারার পর তদন্ত শুরু করেছেন। তিনি পরিস্কার জানিয়েছেন তদন্তে যদি কেউ দোষী সাব্যস্ত হয় তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোণ্ডা জেলার চাতারাউলি গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা