কোনও তুতো সম্পর্ক নয়। একেবারে নিজের দাদা ও সেই দাদার বন্ধুদের হাতে ধর্ষণের শিকার হল এক নাবালিকা। নাবালিকার বয়স মাত্র ৮ বছর। তার দাদার বয়স ১২। দাদার বন্ধুদেরও বয়স তারই আশেপাশে। পুলিশ জানাচ্ছে গত রবিবার মূক ও বধির মেয়েটি ঘরের বাইরে খেলা করছিল। সে সময় তাকে লজেন্সের লোভ দেখিয়ে তার দাদার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে যায়। যাদের বয়স ১২ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। তারা ওই নাবালিকাকে একটি ফাঁকা পোড়ো বাড়িতে নিয়ে যায়। সে সময় সেখানে হাজির হয় তার নিজের দাদাও।
সেখানেই তার দাদা ও দাদার ৩ বন্ধু মিলে ৮ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে। পুলিশ জানাচ্ছে নাবালিকার দাদার বন্ধুরা নাবালিকাকে গত ১ মাস ধরেই যৌন নিগ্রহ করছিল। এদিন সেই তালিকায় যুক্ত হয় খোদ তার দাদাও। রবিবার ৪ কিশোর মিলে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর নাবালিকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এদিকে ধর্ষণের পর সেখানে তাকে ফেলে চম্পট দেয় সকলে। অনেকক্ষণ ওই অবস্থায় পড়ে থাকার পর অবশেষে নিজেই শক্তি সঞ্চয় করে বাড়ি পৌঁছয় ওই নাবালিকা। তারপর আকারে ইঙ্গিতে বাবা-মাকে সব কিছু বুঝিয়ে দেয়।
মেয়ের ভাষা বুঝতে এতটুকু অসুবিধা হয়নি অভিভাবকদের। তাঁরা তখনই তাকে নিয়ে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে ৪ জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকা দাদা সহ বাকি ৩ জনকে শনাক্তও করেছে। ৪ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা শুরু হয়েছে। তাদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে উপস্থিতও করা হয়েছে। আপাতত তাদের স্থান হয়েছে জুভেনাইল হোম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা