বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল স্কুলে যাবে বলে। কিন্তু সেই স্কুল পর্যন্ত আর পৌঁছনো হল না তাদের। আর কখনও তারা স্কুলে যাবেনা। তাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া বাসের চালকের অসাবধানতায় প্রাণ গেল ৯ ছাত্রের। ৪ জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছে হাসপাতালে। পাহাড়ি রাস্তায় অনেক বাঁক থাকে। সেসব বাঁকের ধারেই থাকে গভীর গিরিখাত। ফলে বাঁক নিতে হয় সাবধানে। যানের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রেখে। আর সেখানেই গাফিলতি বলে মনে করছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের তেহরি গাড়োয়াল এলাকার লম্বগাঁও এলাকার পাহাড়ি রাস্তায়। স্কুলে যেতে গেলে এই পথ পার করতে হয়। প্রতিদিনই এই রাস্তায় যাতায়াত। যে বাসে ২৫ জন ছাত্র স্কুলে যাচ্ছিল তা স্কুলের নিজস্ব বাস নয়। একটি প্রাইভেট বাস ছিল সেটি। বাসটি ছাত্র নিয়ে যাওয়া নিয়ে আসার জন্য ব্যবহার হত। সেই বাসটিই এদিন একটি বাঁকের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা গিয়ে পড়ে গভীর গিরিখাতে। আর্তনাদ করতে থাকে ছাত্ররা। বাস গড়াতে থাকে পাহাড়ের গা বেয়ে। তারপর পাহাড়ের নিচে এসে আছড়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলেই ৯ ছাত্রের মৃত্যু হয়। তাদের দেহ পুলিশ ভাঙা বাস থেকে উদ্ধার করে। বাকি ছাত্রদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের হৃষীকেশ এইমসে পাঠানো হয়। কীভাবে ঘটনাটি ঘটল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। চালক ও বাসের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা