গত বছর বর্ষার সেই ভয়ংকর রূপের কথা ভাবলে আজও কেরালার মানুষের বুকটা ছ্যাঁত করে ওঠে। ১ বছর আগে মনের মধ্যে চেপে বসা সেই আতঙ্ক আজও আকাশে মেঘ জমলে তাঁদের আতঙ্কিত করে। কথায় বলে যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধে হয়। ঠিক যেমনটা এখন হচ্ছে কেরালায়। ফের এ বছরও সেখানে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি গত বছরের মত ভয়াল রূপ নেবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। তবে বৃষ্টি বাড়ছে। যা ইতিমধ্যে কেড়ে নিয়েছে ২টি প্রাণ।
কেরালার মলপ্পুরম, কোঝিকোড়, কন্নুর, পালাক্কাড, কাসারগোড়, ইদুক্কি সব জায়গাতেই জল বাড়ছে। রাহুল গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাডেরও একই পরিস্থিতি। প্রবল বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। ফলে বিভিন্ন গ্রামে জল ঢুকছে। গ্রামের পর গ্রাম ফাঁকা করতে হচ্ছে। সকলকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে। ইতিমধ্যেই ২ হাজার ৬০০ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে গেছেন উদ্ধারকারীরা।
জল যত বাড়ছে, বৃষ্টি যত হচ্ছে ততই মানুষের মনে আতঙ্ক চেপে বসছে। ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে চলছে ঝোড়ো হাওয়া। যার জেরে এক প্রৌঢ়ার মাটির ঘরের ওপর আছড়ে পড়ে একটি গাছ। বাড়ি তো ভাঙেই, মৃত্যু হয় ওই প্রৌঢ়ারও। রাজ্য জুড়ে মোট ৪৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এদিকে অবস্থা যে আরও শোচনীয় হতে চলেছে সে বিষয়ে একরকম নিশ্চিত কেরালা প্রশাসন। কারণ আগামী ১৪ অগাস্ট পর্যন্ত কেরালার বড় অংশে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে বৃষ্টি বাড়বে তো কমবেনা।
কেরালার মোট ১২টি জেলার বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। এদিকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে। কারণ ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ঝড় বইতে পারে। ফলে সমুদ্র উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এরমধ্যেই বিভিন্ন রাস্তা জলের তলায় যেতে শুরু করেছে। ফলে সড়ক পরিবহণ এভাবে আগামী দিনে আরও খারাপ পরিস্থিতির শিকার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বেশ কয়েক জায়গায় ধসও নেমেছে। যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোরাল করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা