গত ২ অগাস্ট এক মহিলা জয়পুরের একটি মহিলা থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে যে তাকে ২ যুবক ধর্ষণ করেছে। অভিযোগ গ্রহণ করে পুলিশ। ওই মহিলাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তদন্ত এগোচ্ছিল। ঠিক তখনই নাটকীয় মোড় নেয় পুরো ঘটনা। নিজে থেকেই পুলিশের কাছে হাজির হন অভিযুক্ত ২ যুবক। তবে আত্মসমর্পণ করতে নয়। পাল্টা অভিযোগ নিয়ে।
ওই ২ যুবক পুলিশের কাছে দাবি করেন তাঁরা নির্দোষ। তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। ওই মহিলা এবং তার সঙ্গী যোগেন্দ্র সিং তাঁদের কাছ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। হয় এই টাকা তাঁরা দেবেন। নয়তো তাঁদের ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দেয় তারা। ওই মহিলা এও জানায় যে তাঁরা যদি টাকা দিয়ে দেন তবে সে তার বয়ান বদলে দেবে। নচেৎ তাঁদের ফাঁসিয়ে দেবে।
পুলিশ একথা শোনার পর ওই ২ যুবকের কাছে জানতে চায় টাকা কবে কোথায় দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে সব জানার পর পুলিশ ওই ২ যুবককে গ্রেফতার না করে ওই টাকা দিতে পাঠায়। পুলিশের ধারণা হয় এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। ওই ২ যুবক নির্দোষ। পুলিশের ধারণাই সত্যি হয়।
ওই ২ যুবককে যেখানে আসতে বলা হয়েছিল সেখানে পুলিশ একদম সাদা পোশাকে লুকিয়ে ছিল। ঠিক সময়ে ওই মহিলা ও তার সঙ্গী হাজির হয়। ২ যুবক তাদের হাতে ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেন। টাকা হাতে নেয় মহিলা। আর ঠিক তখনই চারধার থেকে তাদের গিরে ফেলে পুলিশ। হাতেনাতে পাকড়াও হয় ২ ঠগ। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় একটি হানি ট্র্যাপের খপ্পর থেকে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন ওই ২ যুবক। তবে তদন্ত থেমে নেই। পুলিশ এই ঘটনার সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে। এই জাল কতদূর বিস্তৃত তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা