গত বছর কেরালার বন্যা কেবল ভারত বলেই নয়, বিদেশেও আলোড়ন ফেলেছিল। প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয় সেই বন্যায়। কেরালার সিংহভাগ চলে গিয়েছিল জলের তলায়। সেই আতঙ্কের স্মৃতি এখনও তাজা। এক বছর পার করে ফের সেই বর্ষা হাজির। আর ফের শুরু কেরালায় সেই পুরনো আতঙ্ক। ক্রমশ বাড়ছে বৃষ্টি। বাড়ছে বিভিন্ন এলাকায় জল। বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। শেষ ৩ দিন বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। রাজ্য জুড়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন মোট ৮০০টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর লোকসভা কেন্দ্র ওয়ানাডের অবস্থাও ভয়ংকর। ইতিমধ্যেই সেখানে ১১ জনের প্রাণ গেছে। অধিকাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে ক্রমাগত বৃষ্টির জেরে আলগা হওয়া মাটির কারণে। পাহাড়ের গা আলাদা হয়ে কাদামাটির স্রোত নেমে আসছে ধসের আকারে। যার তলায় চাপা পড়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের।
এরনাকুলাম, পালাক্কড়, ওয়ানাড, ইদুক্কি, মালপ্পুরম, কোঝিকোড় ও কান্নুরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখানে আগামী কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে বানভাসি এই এলাকাগুলির অবস্থা আরও শোচনীয় হতে চলেছে। কেরালার অনেক জায়গা দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে মাটি ছিল না, নদী! গ্রামের পর গ্রামকে জুড়ে দিয়েছে অপার জলরাশি। তার ওপর দিয়ে নৌকায় চলছে উদ্ধারকাজ। কার্যত উদ্ধারে নৌকাই একমাত্র ভরসা এখন। কেরালার মানুষের এখন একটাই প্রার্থনা। বন্ধ হোক বৃষ্টি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা