স্টার হোটেল বলে কথা। সেখানে থাকার খরচ প্রাত্যহিকই যথেষ্ট। তার আবার সুইট বুক করেছিল সে। সেখানে একদিন-দুদিন নয়, ছিল ১০২ দিন। মানে প্রায় সাড়ে ৩ মাস। ফলে বিলের মিটার চড়ছিল হুহু করে। প্রথম দিকে টাকা কিছু মেটাচ্ছিলও। খেপে খেপে ১৩ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার বিল মিটিয়েও দিয়েছিল।
কাজে এসেছে শহরে। কাজ এগোচ্ছে। তাই অগত্যা হোটেলেই থাকতে হচ্ছে তাকে। এত বড় হোটেলে খরচ করে যখন সে আছে তখন সে ছোটখাটো লোক নয়। এটাই ধারণা ছিল হোটেল কর্তৃপক্ষের। ফলে হোটেল কর্তৃপক্ষও অতটা সন্দেহ করেনি। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই আচমকা একদিন বেপাত্তা হয়ে যায় ওই অতিথি। তখনও হোটেলের বিলের ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা মেটানো বাকি!
ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের স্টার হোটেল তাজ বানজারাতে। ওই অতিথি হোটেল থেকে একদিন ভ্যানিস হয়ে যায় গত এপ্রিল মাসে। তারপর থেকে তাকে নানাভাবে যোগাযোগ করতে চেয়েও লাভ হয়নি। সে যে যে যোগাযোগ নম্বর দিয়েছিল তার কোনওটাতেই তাকে পাওয়া যায়নি। অন্য একজনের যোগাযোগ নম্বর দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। তাঁকে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে ওই টাকা মিটিয়ে দেবেন বলে জানান।
এতে কিছুটা আশ্বস্ত হয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। তাই তারা তখনই পুলিশের দ্বারস্থ হয়নি। কিন্তু তার কিছুদিন পর থেকে ওই ব্যক্তির ফোনও সুইচ অফ হয়ে যায়। অগত্যা নানাভাবে চেষ্টা করেও ফল না হওয়ায় বানজারা হিলস পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।
এক আধ টাকা নয়। ১২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা বেমালুম কেউ হজম করে পালাবে এটা হোটেল কর্তৃপক্ষ কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তাই যে ভাবেই হোক এর বিহিত চাইছে তারা। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। তবে এখনও ওই ব্যক্তির কোনও হদিশ তারা পায়নি। এদিকে এত টাকা চোট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় মাথায় হাত পড়েছে হোটেলের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা