এক হাতে ধরা রক্তমাখা ছুরি। অন্যহাতে স্ত্রীয়ের কাটা মুণ্ড। মুণ্ডটি ঝুলছে হাতে। অন্য হাতের ছুরিটা রক্তে লাল হয়ে গেছে। এই অবস্থায় খোলা রাস্তায় সকলের সামনে দাপিয়ে বেড়াল এক ব্যক্তি। ভয়ংকর এই দৃশ্য দেখে তখন অনেকেরই প্রাণ উড়ে যাওয়ার জোগাড়। অনেকেই এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। যে যেদিকে পারেন আতঙ্কে ছুট লাগান। যদিও কে কী ভাবল তা নিয়ে কোনও মাথা ব্যথা ছিলনা ওই ব্যক্তির।
ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া শহরের শ্রীনগর কলোনিতে। হাতে মুণ্ড নিয়ে ভ্রুক্ষেপহীন ভাবেই প্রদীপ কুমার রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। গিয়ে পৌঁছয় কাছাকাছি একটি খালের ধারে। তারপর সেই খালে মুণ্ডটি ছুঁড়ে ফেলে দেয়। সেখান থেকে সে সোজা হাজির হয় সত্যনারায়ণাপুরম পুলিশ স্টেশনে। সেখানে আত্মসমর্পণ করে সে। প্রদীপ কুমারের হাতে মুণ্ড নিয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলার সেই রোমহর্ষক দৃশ্য ধরা পড়েছে রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরায়।
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে প্রদীপ কুমার নামে ওই ব্যক্তি ৫ বছর আগে প্রেম করেই বিয়ে করে মণিক্রান্তিকে। তাঁর তখন বয়স ১৮ বছর। বিয়ের পর কিছুদিন ভাল কাটলেও তারপরই দম্পতির মধ্যে চূড়ান্ত অশান্তি শুরু হয়। প্রায়ই ঝগড়া হত। স্ত্রীকে মারধরও করত প্রদীপ কুমার। স্বামীর এই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মণিক্রান্তি সম্প্রতি পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রদীপ কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কদিন আগেই সে জামিনে মুক্তি পায়। কিন্তু রাগটা বোধহয় পোষা ছিল। অবশেষে স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করে প্রতিশোধ নিল সে। পুলিশ জানিয়েছে প্রথমে স্ত্রীকে বাড়ির কাছে একটা জায়গায় নিয়ে গিয়ে গলা কেটে হত্যা করে প্রদীপ। তারপর তাঁর মুণ্ড ছুরি দিয়ে কেটে ধর থেকে আলাদা করে হাতে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে খালের জলে ফেলার জন্য। প্রবল প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই এটা সম্ভব বলে মনে করছেন মনোবিদরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা