দিল্লিতে একটা ঘর ভাড়া করে থাকতেন তিনি। নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী। কর্মসূত্রেই দিল্লি যাওয়া। দিল্লি মেট্রোতে কাজ করতেন শুভঙ্কর। রবিবার সকালে তিনি ফেসবুকে লাইভ ছিলেন। লাইভে ছিলেন তখন তাঁর এক বন্ধু সূর্যকান্ত দাস। সকাল ৯টা নাগাদ পুলিশের কাছে ফোন যায় সূর্যকান্তর। তিনি জানান তাঁর বন্ধু শুভঙ্কর তাঁর ভাড়ার ঘরে ফেসবুকে লাইভ থেকে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেয়।
ঘটনাস্থলে যখন পুলিশ পৌঁছয় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সূর্যকান্ত, ওই ভাড়া ঘরের মালিক ও আরও কয়েকজন। তালিওয়াড়া এলাকায় ওই ঘরের সামনে পৌঁছনোর পর পুলিশ দেখে ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। অগত্যা দরজা ভেঙেই ভিতরে ঢোকে তারা। ঘরের মধ্যে সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় শুভঙ্করের দেহ। তাঁর মোবাইল ফোনটি জানালার ওপর দাঁড় করানো অবস্থায় ছিল। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ঘরে তন্নতন্ন করে খুঁজেও পুলিশ কোনও সুইসাইড নোট পায়নি। ২ মাস হল ওই ঘরে ভাড়া ছিলেন শুভঙ্কর। মেট্রোরেলে কাজও করছিলেন ২ মাস হল। কিন্তু তিনি কেন আত্মহত্যা করলেন তা এখনও পরিস্কার নয় পুলিশের কাছে। তাঁর কোনও বন্ধুও এর কারণ বলতে পারছেন না। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। শুভঙ্করের মোবাইল ফোনটি পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা এই আত্মহত্যার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা