বন্যায় ফের গত বছরের স্মৃতি ফিরেছে কেরালায়। ক্রমশ রাজ্যের যা পরিস্থিতি হচ্ছে তাতে তা ২০১৮-র হুবহু পুনরাবৃত্তি বলে মনে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেরালায় বন্যা গ্রাস করেছে রাজ্যের একটা বড় অংশ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩-তে। যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ গৃহহীন। আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায় খোলা ত্রাণ শিবিরে। কেরালায় এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৬৪০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। আর বাড়ছে অস্থায়ী এসব ত্রাণ শিবির।
এলাকার পর এলাকা জলের তলায় হারিয়ে যাচ্ছে। কখনও নৌকায়, কখনও আকাশপথে সাধারণ বন্যা দুর্গত মানুষকে উদ্ধার করছেন উদ্ধারকারীরা। বৃষ্টি কিন্তু চলছে। আর তারফলে জলও বেড়েই চলেছে। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস এবার বৃষ্টি কমবে। তা হলেই মঙ্গল। যা ক্ষতি হয়েছে তা ফেরানোর উপায় নেই। কিন্তু আরও শোচনীয় অবস্থা না হলেও বাঁচবেন কেরালার মানুষজন। কেরালার কাসারগড়, কান্নুর, ওয়ানাড, কোঝিকোড়, মালপ্পুরম ও ইডুক্কি-র অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়।
সোমবার ছিল ইদ। এদিন কেরালার ওয়ানাডে যান স্থানীয় সাংসদ রাহুল গান্ধী। বন্যা ও ধসে ওয়ানাডের অবস্থা ভয়ংকর। অনেকগুলি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে সেখানে। ত্রাণ শিবিরে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। দেখা করে আশ্বস্ত করেন তাঁদের। যতটা সম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি এদিন দেন ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা