২০১৬ সালে মে মাসে বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন ওই তরুণী। তখন থেকেই তাঁর ওপর কুনজর ছিল তাঁর দেওরের। দেওরের সেই প্রবণতার কথা তিনি তাঁর স্বামীকে জানান। কিন্তু ভাইয়ের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ শুনতে রাজি ছিলেন না তরুণীর স্বামী। বরং এমন ভাবার জন্য তরণীকে তিরস্কারও করেন তিনি। তারপর থেকে নিজেই নিজেকে রক্ষা করে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু মাস দুয়েক আগে একদিন তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে দেওর। ওই অবস্থা থেকে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি। সফলও হন। কিছুতেই দেওরের ধর্ষণের শিকার হননি ওই তরুণী। এদিকে বৌদিকে ধর্ষণ করতে না পেরে রাগে বৌদির গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় দেওর। তারপর আগুন ধরিয়ে দেয়।
৮০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের হরিকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূকে বরেলির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা চালান চিকিৎসকেরা। এভাবেই চলেছে শেষ ২ মাস। অবশেষে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়িয়েছেন ওই তরুণী। গত ২ মাসে কথা বলার অবস্থায় না থাকলেও গত শনিবার তিনি পুলিশকে বয়ান দিতে সক্ষম হন। সেখানেই খুলে বলেন পুরো ঘটনা।
তরুণীর পরিবারের দাবি দেওরের কুনজর নিয়ে স্বামীকে জানালেও তিনি গুরুত্ব দেননি। এদিকে দেওর ধর্ষণ করতে না পেরে যখন ওই গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়, তখন সেই কাজে তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও যোগ দিয়েছিল। পুরো ঘটনার বিবরণ ওই তরুণীর কাছ থেকে পাওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। দ্রুত অভিযুক্ত দেওরকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা