স্বামীর সঙ্গেই ফিরছিলেন ওই তরুণী। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় তাঁকে সাবধানে নিয়ে ফিরছিলেন স্বামী। সেইসময় রাস্তায় তাঁদের সামনে হাজির হয় ৩ জন। এরা সকলেই ওই তরুণীর পরিচিত। সেখানে হাজির হয়ে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তরুণীকে জোর করে বাইকে তোলার চেষ্টা করে। স্ত্রীকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বামী। কিন্তু ওই ৩ যুবকের হাতে থাকা তরোয়ালের কোপে আহত হন। তাঁর সামনে দিয়েই তাঁর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায় ওই ৩ জন।
পুলিশ জানাচ্ছে, তরুণীকে নিয়ে ৩ জন একটি ফাঁকা জায়গায় হাজির হয়। তারা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। হাতে ছিল ধারালো অস্ত্র। এরপর সেই ফাঁকা জায়গায় ওই তরুণীকে তারা পালা করে ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয়। তারপর সেখান থেকে তারা ওই তরুণীকে অন্য একটি জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে ফের ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। এমন করে ২ দিনে ৫টি জায়গা পরিবর্তন করে তারা। আর প্রত্যেক জায়গাতেই ওই সন্তানসম্ভবা তরুণীকে বারবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়। এক সময়ে ওই ৩ জনের সঙ্গে যুক্ত হয় আরও ২ জন। তারাও ধর্ষণ করে ওই তরুণীকে।
স্ত্রীকে তাঁর সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে কয়েকজন। অথচ তিনি স্ত্রীকে রক্ষা করতে পারেননি। এই গ্লানি নিয়ে আহত অবস্থায় গ্রামে পৌঁছন ওই তরুণীর স্বামী। তারপর ঘরে না ফিরে গ্রামের একটি গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে ওই তরুণীকে উদ্ধারও করে তারা। অগুন্তিবার ধর্ষণে রক্তাক্ত ওই তরুণীর সন্তান ততক্ষণে নষ্ট হয়ে গেছে। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তরুণীর বয়ান নিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে পুলিশ। অবশেষে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের বান্সওয়ারা জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা