বাড়ির কাছেই থাকে। অনেকটা পাড়াতুতো কাকার মতন। তাই মেয়েকে নিয়ে অতটা চিন্তা ছিলনা বাবা-মায়ের। তাঁদের বরং চিন্তা ছিল মেয়ে বিশেষভাবে সক্ষম হওয়ায়। সেটা বাবা-মাকে প্রতি মুহুর্তে চিন্তায় রাখত। তাই পাড়ার ৫০ বছরের পরিচিত প্রতিবেশি তাঁদের ১৫ বছরের মেয়ের সঙ্গে থাকলে তাঁরা চিন্তা করতেন না। কিন্তু সেটাই কাল হল।
প্রৌঢ় ওই প্রতিবেশি যে তাঁদের মেয়েকে সঙ্গ দেওয়ার নামে তাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে চলেছে তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি অভিভাবকরা। আর ওই কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হওয়ায় সেও পরিস্কার করে বাবা-মাকে তার সঙ্গে কী হচ্ছে তা বুঝিয়ে বলতে পারেনি। এই সুযোগটাই কাজে লাগাতে থাকে ওই প্রৌঢ়।
কিশোরীর বাবা-মার বিষয়টি নজরে আসে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায়। সন্তানসম্ভবা হওয়ার চিহ্ন তার শরীরে স্পষ্ট ধরা পড়ার পরই খোঁজ নিতে গিয়ে সব জানতে পারেন তাঁরা। দ্রুত পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই কিশোরী এখন ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরের ওয়াজিদপুর গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা