গাছের একদম মাথায় বসে থাকেন তিনি। সেখানেই দিন-রাত কাটান। নিচে নামেন না। ধ্যান, হোম, পুজো, ঈশ্বর চিন্তা হোক বা ঘুম অথবা প্রাত্যহিক কাজ। সবই সারেন গাছের মাথায় বসেই। সাধারণত ধ্যান করার হলে গাছের একটি ডালে বসতেই পছন্দ করেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন তাঁর ওপর হনুমানজি-র অশেষ কৃপা আছে। তিনি তাঁর আশীর্বাদ ধন্য। অনায়াসে গাছে চড়ার শক্তি তিনি হনুমানজির কাছ থেকেই পেয়েছেন। এই গাছের ওপর থাকার সুবাদে তিনি এখন স্থানীয় মানুষের কাছে ‘বান্দারিয়া বাবা’। আশপাশের মানুষের মধ্যে তো জনপ্রিয়তা হুহু করে বেড়েছেই। তারসঙ্গে এখন দূর দূরান্ত থেকে মানুষ অনেক কষ্ট করে ছুটে আসছেন বান্দারিয়া বাবার দর্শন পেতে। ফলে প্রতিদিনই হাজার হাজার ভক্ত, দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন গাছের তলায়।
উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের সূজাউলি এলাকায় একটি গাছের ওপর চড়ে আছেন বান্দারিয়া বাবা। আর গাছের তলায় দূর দূর পর্যন্ত শুধু মানুষের মাথা। সকলেই চেয়ে আছেন গাছের মাথার দিকে। যে গাছে বসে থাকেন বান্দারিয়া বাবা। প্রায় ৭০ বছরের কাছাকাছি বয়স বান্দারিয়া বাবার। গাছের ওপর থেকে তিনি নামেন না। তবে সেখান থেকেই মোবাইলে কথা বলেন। তাঁর দর্শন পেতে যেভাবে ভক্তের ঢল নামছে তাতে এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা পুলিশের কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসঙ্গে এত হাজার মানুষের ভিড়ে যে কোনও সময় যে কোনও কিছু ঘটতে পারে বলে আতঙ্কে রয়েছে প্রশাসন। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে গাছের চারধারে।
পুলিশ জানাচ্ছে, এই বান্দারিয়া বাবা আগে ছিলেন হরিদ্বারে। সেখানে বহু বছর কাটিয়েছেন তিনি। তখন অবশ্য তাঁকে কেউ চিনত না। মাস চারেক আগে তিনি হরিদ্বার থেকে এই সূজাউলি এলাকায় এসে হাজির হন। গাছে চড়ে বসেন। আর তাঁকে দেখতে ভিড় জমতে থাকে। তখন অবশ্য পুলিশ তাঁকে দ্রুত সরিয়ে দেয়। পুলিশের চাপে তখনকার মত এলাকা ছাড়লেও কদিন আগে তিনি ফের ফিরে আসেন। আর এসে চড়ে বসেন একটি বিশাল গাছে। আপাতত সেখানেই বসে আছেন তিনি। গাছ থেকে নামেননি। আর তাঁকে দর্শন করতে হাজার হাজার মানুষের ভিড় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে।
পুলিশ এবারও তাঁকে গাছ থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বান্দারিয়া বাবা এবার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি গাছ থেকে নামবেন না। জোর করে নামানোর চেষ্টা হলে তিনি গাছ থেকে ঝাঁপ দেবেন। হাজার হাজার ভক্ত থাকা বান্দারিয়া বাবাকে এবার আর ঘাঁটাতে সাহস পাচ্ছে না পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা