দিন ১৫ হল দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। ২২ বছরের তরুণ ও ১৮ বছরের তরুণীকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও তাঁদের দেখা মেলেনি। অবশেষে খোঁজ মিলল তাঁদের। তবে জীবন্ত নয়। গত বুধবার মৃত অবস্থায় যুগলের দেখা মিলল কানপুরের একটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের ঝোপঝাড় ঘেরা জমিতে। পাশে পড়েছিল একটি বিষের শিশি আর একটি সুইসাইড নোট। যাতে লেখা ছিল তাঁদের সম্পর্ক ২ পরিবার মানবে না। তাই তাঁরা চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলেন। আজাদ আলি ও কাঞ্চনের প্রেম অচিরেই শেষ হয়ে গেল তাঁদের চরম সিদ্ধান্তে। তবে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে আজাদ আগে থেকেই বিবাহিত ছিলেন। বিবাহিত অবস্থাতেই তাঁর সঙ্গে কাঞ্চনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
কানপুর পুলিশ জানাচ্ছে, আজাদ আলি ও কাঞ্চন ২ মাসে আগে একবার বাড়ি থেকে পালান। সেই ঘটনার পর কাঞ্চনের বাড়ির লোকজন আজাদের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্তে নেমে আজাদ আলিকে গ্রেফতার করে। কাঞ্চনকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু কাঞ্চন পরে আজাদের পক্ষে বয়ান দেওয়ায় আজাদের জামিন মঞ্জুর হয়। এরপরও দুজনের প্রেম অব্যাহত থাকে। অবশেষে দিন ১৫ আগে দুজন বাড়ি ছেড়ে ফের পালান। তারপর মিলল তাঁদের নিথর দেহ।
একই দিনে আরও এক তরুণ-তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়েছে উত্তরপ্রদেশেরই হাথরাস জেলায়। গাছে পাশাপাশি ঝুলছিল দেহ ২টি। তাঁদের কাছ থেকেও একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে পুলিশ। যাতে তাঁরা জানিয়েছেন তাঁদের সম্পর্ক তাঁদের পরিবার মানছে না। তাই তাঁরা চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন। পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পারে ২০ বছরের জ্যোতির সঙ্গে প্রেম ছিল বছর ২২ এর জুগনু-র। ২ পরিবার সেকথা জানতে পেরে ২ জনকেই আলাদা বিয়ে দিয়ে দেয়। কিন্তু তাঁদের প্রেম এতটুকুও নষ্ট হয়নি। অবশেষে তাঁরা এমন এক চরম সিদ্ধান্ত নিলেন। গাছ থেকে দুজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা