১৭ বছর বয়সের কিশোরীর সঙ্গে গভীর প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল ২০ বছরের এক তরুণ। দুজনেই অবশ্য জানত যে তাদের এই প্রেম মেনে নেবে না তাদের পরিবার। তাই বাড়ি ছেড়ে একদিন ওই যুবকের হাত ধরে পালিয়ে যায় ওই কিশোরী। ঘটনার শুরু তার পরেই। কিশোরীর পরিবার দ্বারস্থ হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। তখনই কিছু করা সম্ভব না হলেও পঞ্চায়েতের হাতে সুযোগ আসে দিন দশেক পর। যখন ১৭ বছরের দলিত মেয়েটি গ্রামে ফিরে আসে ২০ বছরের সাই কিরণের হাত ধরে।
গ্রাম পঞ্চায়েত সভা বসায়। সেখানে মেয়েটিকে বলা হয় সে যেন সাইয়ের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক না রাখে। কিন্তু তা মানতে পারেনি ওই ১৭ বছরের কিশোরী। প্রেমিকের সঙ্গ সে ত্যাগ করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। সাই কিরণকে তো মারধর করাই হয়। ১৭ বছরের ওই কিশোরীকে মারের সুযোগ নেন গ্রামের প্রধান ৭০ বছরের বোয়া লিঙ্গাপ্পা।
৭০ বছরের ওই বৃদ্ধ কিশোরীকে প্রথমে হাত দিয়ে মারতে শুরু করেন। যথেষ্ট চলে অত্যাচার। তাতেও শান্তি হয়নি। তারপর লাঠি দিয়ে শুরু হয় মার। অকথ্য মার। ১৭ বছরের এক কিশোরীকে সেই ভয়ংকর অত্যাচারের ছবি গ্রামবাসীদেরই কয়েকজন ক্যামেরাবন্দি করেন। যেখানে ওই কিশোরীকে লাথিও মারেন বোয়া। সেই ভিডিও ভাইরাল হয় মুহুর্তে।
যদিও কিশোরী বা কিশোরীর পরিবার বা অন্য কেউ এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি, তবু পুলিশ ওই ভিডিওর ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে। কিন্তু বোয়াকে গ্রেফতার করতে পারেনি। কিশোরীর ওপর প্রবল অত্যাচার চালানো বোয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে বলে জানতে পেরেই গ্রামবাসীরা থানা ঘেরাও করেন। তাঁরা জানান, পুরোটাই তাঁদের ঘরোয়া ব্যাপার। এ বিষয়ে পুলিশ যেন নাক না গলায়। ফলে পুলিশের পক্ষে বোয়াকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা