মাস ছয়েক আগের কথা। তরুণী এক মডেলের সঙ্গে আলাপ হয় এক ফটোগ্রাফারের। ফটোগ্রাফার ও মডেল, এই ২ পেশার মানুষ একে অপরের ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। একে ছাড়া ওর চলেনা। ওকে ছাড়া এর। ফলে হরিয়ানার মাঞ্জারের বাসিন্দা ওই তরুণী উদীয়মান মডেলের ইচ্ছা হয় তিনি একটি ফোটোশ্যুট করাবেন। আর সেই ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার সুযোগ হাতেই রয়েছে। কারণ তাঁর সঙ্গে আলাপ হয়েছে এক ফটোগ্রাফারের। বন্ধু হয়ে ওঠা ওই ফটোগ্রাফারের কাছ থেকে একটা অফারও আসে। ফোটোশ্যুটের অফার। লুফে নেন ওই তরুণী।
গোবিন্দ নামের ওই ফটোগ্রাফার আবার উত্তরপ্রদেশের শামলির বাসিন্দা। ফলে ওই তরুণী মডেল স্থির করেন সেখানেই যাবেন তিনি। পুলিশ জানাচ্ছে, শামলিতে প্রথমে ওই মডেল একটি গ্রামে এসে ওঠেন। সেখানেই ঠিক হয় ফোটোশ্যুট হবে। হয়ও তাই। এই সময়ই গোবিন্দ কোনওভাবে ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে।
শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করার সময় ওই মডেলকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয় সে। ওই তরুণীর কাছে এরপর বিয়ে করার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য তাঁকে বাড়িতেও নিয়ে যায় গোবিন্দ। সেখানে গোবিন্দের বাড়িতেই আবার একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হন ওই মডেল। এরপর ওই তরুণী বাড়ি ফেরেন। পরে গোবিন্দকে বিয়ে করার বিষয়ে বলতে সে বেঁকে বসে। জানিয়ে দেয় বিয়ে সে করতে পারবেনা। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করেও বিয়ে না করায় ওই তরুণী পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা