রাখিবন্ধন ছিল গত বৃহস্পতিবার। রাখিতে দিদির শ্বশুরবাড়িতে তার সঙ্গে ঠিক দেখা করতে যায় বোন। ২০১৫ সালে দিদির বিয়ের পর থেকে তার রাখির দিনে দিদির শ্বশুরবাড়িতে হাজিরায় তার কখনও ভুল হয়নি। কিন্তু ওইদিন বোন তাঁর বাড়িতে না আসায় সন্দেহ হয় দিদির। তিনি সোজা হাজির হন বাপের বাড়িতে। সেখানেও বোনকে দেখতে না পেয়ে বাবাকে প্রশ্ন করেন বোন কোথায়? সে সময় তার বাবা খুব হেলায় জানিয়ে দেয় সে তার বোনকে মেরে ফেলেছে। এরপর আর সময় নষ্ট না করে ওই ব্যক্তির বড়মেয়েই পুলিশে খবর দেন।
পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। সে পুলিশের কাছে স্বীকারও করেছে যে সে তার মেয়েকে হত্যা করেছে। তার আগে তাকে ২ বছর ধরে লাগাতার ধর্ষণও করেছে ওই বিকৃতমনষ্ক ব্যক্তি। ১৫ বছর আগে ওই ব্যক্তির স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তখন তার ছোট মেয়ের মাত্র ৪ বছর বয়স ছিল। ২ মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে থাকে ওই ব্যক্তি। ২০১৫ সালে বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। ছোট মেয়ের বয়স তখন ১৫ বছর।
বড় বোনের বিয়ের পর বাবা ও ছোট মেয়ের সংসার তৈরি হয়। মেয়ের যখন ১৭ বছর বয়স তখন ওই ব্যক্তি মেয়েকে প্রথমবার তার লালসার শিকার করে। তারপর তা লাগাতার চলতে থাকে। গত ২৬ জুলাই মেয়েকে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে ওই ব্যক্তি। তারপর মেয়ের দেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়। পুলিশ দেহাংশগুলি উদ্ধার করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর জেলায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা